গ্রিসে নতুন সরকার
২১ জুন ২০১২‘‘দৈনিক কাথিমেরিনি'' - গ্রিক এই সংবাদপত্রটির বৃহস্পতিবারের, মানে আজকের শিরোনাম মনে রাখার মত৷ তারা বলছে, সময় চাই৷ ইউরোজোনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত দেশ গ্রিসের আর্থিক সংকটের মোকাবিলা করতে গিয়ে একের পর এক সরকার মুখ থুবড়ে পড়ার পর অবশেষে রক্ষণশীল দল আর পাসকদের জোট গ্রিসে সরকার গড়তে চলেছে৷ নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট ছিল দিকনির্দেশ৷ রক্ষণশীলদের পরেই বামপন্থী সিরিজা দলের অবস্থান থাকলেও সরকার গড়তে রাষ্ট্রপতি ডাক দেন সংখ্যাগরিষ্ঠদেরকে৷ ফলে যারা ক্ষমতায় থেকে গ্রিসের সংকটকে ত্বরান্বিত করেছিল, তারাই ফের ফিরে এল শাসনভার হাতে নিয়ে৷
সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই নতুন সরকার গঠনের দিনেই গ্রিসের দৈনিক কাথিমেরিনির হেডলাইনে বলা হচ্ছে, ‘এবারেও সময় চায় গ্রিস, সংকট সামলাতে গ্রিসকে দুই বছর সময় দেওয়া হোক৷' ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রসঙ্গই তুলবে গ্রিক সরকার৷ বলা হবে, একটু সময় পেলে সামলানো যাবে পরিস্থিতি৷
পরিস্থিতি যদিও আগের থেকে আরেকটু সংকটময়৷ কারণ, সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফের হিসেবে বলা হয়েছিল, গ্রিসের মোট গড় উৎপাদন বা জিডিপি-র সাড়ে চার শতাংশ হল ঋণ৷ আর এক্বেবারে সাম্প্রতিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, সেই ঋণের পরিমাণটা আরও দেড় থেকে তিন শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় থেকে সাত শতাংশ৷ ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী সামারাস সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জের পরিমাণটা আরও বেশি চওড়া হল৷
এসইউবি / জেএইচ (ডিপিএ, এপি)