স্বস্তির নিঃশ্বাস
১৮ জুন ২০১২গ্রিসের রক্ষণশীল নেতা আন্তোনিস সামারাস'কে শীঘ্রই জোট সরকার গঠন করতে হবে৷ সোমবার সকাল পর্যন্ত ভোট গণনা চলেছে৷ শতকরা ৯৯.৯ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে৷ তাতে দেখা গেছে নেয়া দেমোক্রাতিয়া বা নিউ ডেমোক্রেসি দল ২৯.৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ উগ্র বামপন্থী সিরিসা পেয়েছে ২৬.৮৯ শতাংশ ভোট৷
নির্বাচনের আগেই সিরিজা ঘোষণা দিয়েছিল যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত ব্যয় সঙ্কোচ নীতি আর মেনে চলবে না গ্রিস৷ ঋণ ফেরত দেবে না, কিন্তু ইউরোজোনে থাকবে৷ এতে অনেক গ্রিক ভোটার আশ্বাস পেলেও আতঙ্কিত ছিল আরো অনেক বেশি মানুষ৷
এবং এর পুরোপুরি বিপক্ষে কথা বলেছেন আন্তোনিস সামারাস৷ তিনি বলেছেন, গ্রিসকে ব্যয় সঙ্কোচ নীতি মেনে চলতে হবে৷ কাট-ছাঁট চলবে এবং এর ফলে সাহায্যও পাওয়া যাবে আর গ্রিস ইউরোজোনেও থেকে যাবে৷
সিরিসা'র সঙ্গে নেয়া দেমোক্রাতিয়া জোট গঠন করবে কি? সেই সম্ভাবনা কতটুকু? সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই, কারণ সিরিসা দলের আলেক্সিস সিপ্রাস সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোন অবস্থাতেই তারা সামারাসের সঙ্গে জোট বাঁধবেন না৷ তারা ব্যয় সঙ্কোচ নীতির বিরোধিতা করেই যাবে৷ ব্যয় সঙ্কোচ নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণা তারা অব্যাহত রাখবে৷
এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গ্রিসের সংসদের ৩০০ টি আসনের মধ্যে নেয়া দেমোক্রাতিয়া ১২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে৷ সিরিসা পেয়েছে ৭১টি আসন৷ এবং বামপন্থী পাসোক দল, যারা ব্যয় সঙ্কোচ নীতির পক্ষে, তারা পেয়েছে ৩৩টি আসন৷ পাসোক রবিবারের নির্বাচনে পেয়েছে ১২.৩ শতাংশ ভোট৷
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেছে যে কোন দলই এককভাবে সরকার গঠন করার মত যথেষ্ট ভোট পায়নি৷ সরকার গঠনে প্রয়োজনে ১৫১ টি আসন৷ যদি নেয়া দেমোক্রাতিয়া দল গঠনে ব্যর্থ হয়, তাহলে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলকে সুযোগ দেয়া হয় সরকার গঠনের৷
খবরে প্রকাশ যে আজই নেয়া দেমোক্রাতিয়া জোট সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে৷ পাসোক এদিক থেকে এগিয়ে রয়েছে৷ ধরে নেয়া হচ্ছে, যে পাসোক'এর সঙ্গে হয়তো সামারাস জোট বাঁধবেন৷
গ্রিসের নির্বাচনের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ৷ আইএমএফের মুখপাত্র রবিবার জানিয়েছেন, ‘‘গ্রিসের ফলাফলের ওপর আমাদের নজর রয়েছে৷ আমরা গ্রিসের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য নিজেদের তৈরি করেছি৷ গ্রিসে কাজের সুযোগ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে যেভাবে সাহায্য করা প্রয়োজন, সেভাবে সাহায্য করতে আইএমএফ রাজি৷''
এমজে / এসবি (ডিপিএ, এপি)