1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুরঞ্জিতের পদত্যাগ

১৬ এপ্রিল ২০১২

এপিএস’এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ তাঁর দাবি, ঐ টাকার সঙ্গে তাঁর দূরতম সম্পর্ক নেই৷

https://p.dw.com/p/14edE
ছবি: DW

গত ২৮শে নভেম্বর এক জটিল পরিস্থিতিতে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি৷ পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলায়, সড়ক ও রেল যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে তাঁর মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়৷

এরপর সড়ক ও রেল দু'টি আলাদা মন্ত্রণালয় করা হয়৷ সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে৷ এবং রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এটাই ছিল প্রথম মন্ত্রীত্ব৷ কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় অপর এক জটিল পরিস্থিতিতে সোমবার তাঁকে পদত্যাগ করতে হলো৷

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৯ই এপ্রিল রাতে তাঁর এপিএস'এর গাড়িতে ৭০ লাখ টাকার সঙ্গে তাঁর দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই৷ তারপরও সুষ্ঠু তদন্ত এবং গনতন্ত্রের স্বার্থে তাঁর এই পদত্যাগ৷

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ঘটনার পর পরই তিনি কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলি মৃধা এবং রেলের কমান্ডেন্ট এনামুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তিনি জানান, তাঁর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন৷ তারপরও সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতা এবং গণমাধ্যমের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করলেন৷

৯ই এপ্রিল পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলি মৃধা, ঢাকা রেলের কমান্ডেন্ট এনামুল হক ও রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার একই গাড়িতে রেলমন্ত্রীর জিগাতলার বাসায় যাচ্ছিলেন৷ গাড়িটি ছিল এপিএস'এর৷ গাড়ির ড্রাইভার আলী আযম পথে হাঠাৎ করে গাড়িটি পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের গেটে ঢুকিয়ে দিলে, তাঁদের ৭০ লাখ টাকাসহ আটক করে পরদিন সকালে ছেড়ে দেয়া হয়৷

রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ছাড়া পাওয়ার পরই, ৭০ লাখ টাকা তাঁর ব্যাংক একাউন্টে জমা দিয়েছেন৷ এই ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় হয়৷ রেলের কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন করে রেলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ করেন৷ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার তুরস্ক থেকে দেশে ফেরার পর, রোববার রাতে সুরঞ্জিত তাঁর সঙ্গে দেখা করেন৷ তখনই তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যায়৷ এ কারণে সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি সুরঞ্জিত৷

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য এবং পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন৷ এছাড়া, আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ অথচ গণতন্ত্রী পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া এই বর্ষিয়ান ঝানু পার্লামেন্টারিয়ান রাজনৈতিক জীবনে প্রথম মন্ত্রীত্বের পাঁচ মাসের মাথাতেই দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে বিদায় নিলেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য