1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরীয় কূটনীতিক বহিষ্কার

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বৃহস্পতিবার জার্মানি চার জন সিরীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো৷ এদিকে চীন সিরিয়ার এক বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে৷ হোমস শহরে সরকারি বাহিনীর তাণ্ডব থামছে না৷ আসাদের অনুগত বাহিনী তাদের দমন নীতি চালিয়ে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/140EG
German Foreign Minister Guido Westerwelle gestures during a statement in Berlin, Germany, Thursday, Feb. 9, 2012. Germany says it is expelling four Syrian diplomats following the arrest earlier this week of two men accused of spying on Syrian opposition groups in Germany. Westerwelle said in the statement, that he ordered the expulsions of the four Syrian Embassy employees, and that the ambassador had been informed. (Foto:Gero Breloer/AP/dapd)
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেছবি: AP

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বৃহস্পতিবার নিজে ঘোষণা করেন, যে ৪ জন সিরীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিন দিনের মধ্যে তাদের জার্মানি ছেড়ে চলে যেতে হবে৷ তিনি এপ্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, যে জার্মানিতে সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধিদের উপর গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দুই দিন আগেই বার্লিনে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ বার্লিনে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল৷ এই ধরণের কার্যকলাপের জন্য জার্মানি সরাসরি তার কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ জার্মান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার অন্যতম বিরোধী গোষ্ঠী এসএনসি৷ উল্লেখ্য, জার্মানিতে প্রায় ৩২,০০০ সিরীয় নাগরিক বসবাস করে৷

সিরিয়ার পরিস্থিতি

প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী হোমস শহরে তাদের দমন নীতি চালিয়ে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করছে৷ ফলে শনিবার থেকে সেখানে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেল৷ দক্ষিণে দারা শহরে বিরোধীদের পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ৭ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে৷

This image taken from video filmed over the past several days by an independent cameraman and made available Tuesday Feb. 7, 2012 shows a dead man carried outside in a funeral procession in Homs, Syria. The bombardment of Homs, the hot bed of the resistance to President Bashar Assad's regime, has intensified over recent days, after Syria's allies Russia and China vetoed a Western and Arab-backed resolution at the United Nations that would have condemned the Assad regime's crackdown on dissent and called on him to transfer some of his powers to his deputy. (Foto:APTN/AP/dapd)
ফাইল ছবিছবি: dapd

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা

কাতারে সিরিয়ার বিরোধী জাতীয় পরিষদের ৩ দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আরব লিগ'এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সিরিয়ায় এক পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে চান৷ আরব লিগের মহাসচিব নবিল আল আরাবিও নীতিগতভাবে এই উদ্যোগের পক্ষে৷ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটোর কারণে বান চীন ও রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন৷ সিরিয়ায় আসাদ প্রশাসনের চরম দমন নীতি সত্ত্বেও রাশিয়া ও চীন যেভাবে সেদেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে, আরব জগত সব বিশ্বের অনেক দেশ তার জোর সমালোচনা করে চলেছে৷ তবে নিজেদের ভাবমূর্তির উন্নতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে এই দুই দেশ৷

রাশিয়ার পর এবার চীনও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আসাদ প্রশাসন ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা শুরু করেছে৷ সিরীয় বিরোধী গোষ্ঠী এনসিবি'র সদস্যরা পূর্বনির্ধারিত সফরে বেইজিং'এ এসেছেন বলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এই গোষ্ঠী চায়, সিরিয়ায় অচলাবস্থা কাটাতে চীন আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক৷ এদিকে সিরিয়ার বিরোধীদের একাংশ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে৷ তাদের এক ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করা হয়েছে, ‘রাশিয়া তার বিমান, ট্যাংক ও ভেটো দিয়ে আমাদের সন্তানদের হত্যা করছে৷''

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য