1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্দেহভাজন ব্রেইভিক মুসলিম বিরোধী চরমপন্থী - পুলিশ

২৩ জুলাই ২০১১

একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে নরওয়ের স্মরণকালের সন্ত্রাসী হামলার সন্দেহভাজনকে নিয়ে৷ গ্রেফতার হওয়া আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক নিজেকে পরিচয় দিতেন মৌলবাদী খ্রিষ্টান বলে৷

https://p.dw.com/p/122JS
epa02837550 An undated profile image from social networking site Facebook made available 23 July 2011 showing a man suspected by Norwegian police of the shooting incident at a political youth camp on the island of Utoya, and of the bomb attack in Oslo, Norway. A Norwegian man was charged 23 July with carrying out twin attacks that claimed at least 91 lives 22 July, police said. The 32-year-old, that authorities have not identified but who has been widely named by the local media as Anders Behring Breivik, was arrested by special forces at the Utoya island, west of the capital Oslo. The death toll at Utoya could rise as police continue to search for victims, Oslo deputy police chief said. EPA/SCANPIX SWEDEN / FACEBOOK NORWAY AND SWEDEN OUT, MADE AVAILABLE AS A SERVICE TO CLIENTS, HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES +++(c) dpa - Bildfunk+++
আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিকছবি: picture alliance/dpa

মুসলিম বিরোধী চরমপন্থী

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে যে, আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক ফেসবুক এবং টুইটারে উগ্রবাদী ধারণার প্রচারণা চালাতেন৷ নরওয়ের পুলিশ কমিশনার সেভিনুঙ্গ স্পনহাইম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তার কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল যা চরমপন্থী এবং মুসলিম বিরোধী৷ তবে তার এই কাজের পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ এদিকে ব্রেইভিক গত ৪ মে একটি কোম্পানির কাছ থেকে ছয় টন সার কিনেছিলেন বলে জানা গেছে৷ পুলিশ খতিয়ে দেখছে, শুক্রবার যে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে তার সঙ্গে এর কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা৷ কারণ বিস্ফোরক তৈরিতে এই রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ৷

আরও একজন গ্রেফতার

এদিকে এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ৷ ইতিমধ্যে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গ্রেফতার হওয়া তরুণের কাছে ছুরি পাওয়া গেছে৷ হামলায় যারা আহত হয়েছিলো তাদের দেখতে গিয়েছিলেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ৷ সেই সময় হোটেলের কাছেই এই তরুণকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ এই সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷ জানা গেছে, ওই তরুণ লেবার পার্টির যুব সংগঠনের সদস্য৷

This Thursday July 21, 2011 photo shows young people on the Labour Youth League summer camp on Utoya island, Norway when Norwegian Foreign Minister Jonas Gahr Stoere made a visit. A Norwegian gunman disguised as a police officer beckoned his victims closer before shooting them one by one, claiming at least 84 lives, in a horrific killing spree on an idyllic island teeming with youths that has left this peaceful Nordic nation in mourning. The island tragedy Friday unfolded hours after a massive explosion ripped through a high-rise building housing the prime minister's office, killing seven people. (Foto:Scanpix/Vegard Gratt/AP/dapd) NORWAY OUT
ব্রেইভিকের হামলার আগে এভাবেই যুব শিবিরের নানা কর্মসূচিতে মেতে ছিলেন নরওয়ের শতাধিক তরুণ প্রতিভাছবি: dapd

আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা

এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘‘আমি নরওয়ের জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি৷ একই সঙ্গে এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে এই ধরণের সন্ত্রাসী হামলা রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে৷'' একই ধরণের মন্তব্য এসেছে জার্মানির পক্ষ থেকেও৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টাভেলে আফগানিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে, ইউরোপকে সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবশ্যই সজাগ হতে হবে৷ আমরা এই ঘটনার পুরো কারণ এখনও জানি না, তবে এটি স্পষ্ট যে এই বর্বর হামলার কোন যুক্তি নেই৷''

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই