1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতিরিক্ত ওজনের বিরুদ্ধে লড়ছে মালয়েশিয়া

২০ এপ্রিল ২০১১

শিশুদের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে শুধু বাবা মা নন, উদ্বিগ্ন দেশের নেতৃবৃন্দসহ বিজ্ঞানীরাও৷ তাই বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার, শিশুর ওজনের জন্য দায়ী গর্ভবতী মায়ের খাবার অভ্যাস৷ অন্যদিকে, শিশুদের অতিরিক্ত ওজন ঠেকাতে পদক্ষেপ মালয়েশিয়ায়৷

https://p.dw.com/p/10wrp
ফাইল ফটোছবি: AP

যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা যৌথ গবেষণায় খুঁজে পেলেন গর্ভে থাকা শিশুর উপর মায়ের খাবার গ্রহণের অভ্যাসের প্রভাব৷ তাঁর বলছেন, গর্ভবতী অবস্থায় মা কী ধরণের খাবার খাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে শিশুর ডিএনএ গঠিত হয়৷ তাই এসময় মায়ের ভুল খাবার গ্রহণ শিশুর অতিরিক্ত ওজন, হৃদরোগ, কিংবা মহুমুত্র রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে৷ এমনকি ঠিক জন্মের সময় শিশুর ওজন কিংবা মায়ের ওজন স্বাভাবিক হলেও এপিজেনেটিক পরিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে ওবেসিটি'র কবলে পড়তে থাকে শিশু৷ সুতরাং শুধুমাত্র শিশুর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে হৈ-চৈ করলে চলবে না৷ বরং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মায়েরাও অনেকাংশেই দায়ী৷ সুতরাং গর্ভাবস্থাতেই মায়ের উচিত সঠিক মাত্রায় সঠিক খাবার গ্রহণ৷

ছয় থেকে নয় বছর বয়সের ৩০০ শিশুর উপর গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য জানালেন বিজ্ঞানীরা৷ অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগিন্স ইন্সটিটিউট-এর অধ্যাপক পিটার গ্লুকম্যান বলেন, ‘‘এটা একটা বড় আবিষ্কার৷ কারণ এটা প্রথমবারের মতো এমন কিছু সম্ভাব্য সূত্র সামনে এনে দিয়েছে যা থেকে এবার আরো একধাপ এগিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে যে, গর্ভবতী নারীদের কী খাওয়া উচিত, আর কী নয়৷''

তবে বিজ্ঞানীরা মায়ের খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিলেও মালয়েশিয়ার সরকার ঠিক করেছে, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক মূল্যায়ন পত্রে জুড়ে দেবে তাদের দৈহিক ওজন এবং দেহের আয়তনের হিসাব৷ এছাড়া বিদ্যালয়সমূহে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ও খাবার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সরকার৷ দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিও টিওঙ্গ জানালেন, শিশুদের শুধু শিক্ষা নয়, এখন থেকে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর রাখবেন এবং তা বার্ষিক মূল্যায়নেও উল্লেখ করবেন শিক্ষক৷

ফলে শিশুর অতিরিক্ত ওজন হলে অভিভাবক সেই ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন৷ প্রয়োজনে ব্যায়ামাগারে ভর্তি করে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন৷ সরকারি হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়াতেই সবচেয়ে বেশি মোটা মানুষের ভিড়৷ আর এক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যে দেশটির স্থান ষষ্ঠ পর্যায়ে৷ মালয়েশিয়ায় ১৮ বছর এবং এর চেয়ে বেশি বয়সের অতিরিক্ত মোটা মানুষদের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক