1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

১০ নভেম্বর ২০১২

পার্টি কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা দু’দিন কাটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও’এর বক্তৃতার প্রশংসায়৷ কিন্তু দুর্নীতির মতো বড় সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়েও আলোচনা – এবং সমালোচনা – শুরু হয়েছে, যেমন ইন্টারনেটে৷

https://p.dw.com/p/16gD0
ছবি: REUTERS

হু জিনতাও তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায় একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন: দুর্নীতি এখন চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির কাছেও অগ্রাধিকার পেতে চলেছে৷ সেই দুর্নীতি কালে কম্যুনিস্ট পার্টির শাসনের বৈধতার পক্ষে বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে, বলেছেন হু৷

তার পর পরই বেইজিং'এর পার্টি কংগ্রেসের অবকাশে কিছু কিছু সংস্কারপন্থি নেতাও মুখ খুলেছেন৷ যেমন গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান ওয়াং ইয়াং বলেছেন, তাঁর প্রশাসন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সম্পত্তির ফিরিস্তি চাওয়া হবে কিনা, তা' নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে৷ ওয়াং স্বয়ং চীনা রাজনীতির উঠতি তারকা হিসেবে গণ্য৷

‘ট্রোজান হর্স'

চীনে দুর্নীতির আরেকটি বড় উৎস হল তার সরকারি মালিকানার শিল্প ও বাণিজ্য সংস্থাগুলি, যারা চীনের মোট উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে৷ চীনের সংস্কারপন্থিদের তথা পশ্চিমা সরকারবর্গের যুক্তি হল, এই সরকারি শিল্পসংস্থাগুলি স্রেফ তাদের আয়তন এবং বাজারে তাদের মাত্রাধিক প্রভাবের কারণে চীনের অর্থনৈতিক প্রগতিকে ব্যাহত করছে৷ এছাড়া তারা দুর্নীতি এবং অপচয়ের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করছে, যার ফলে গ্রাহকদের জন্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে৷

Parteitag China Kommunistische Partei
চীনে চলছে কম্যুনিস্ট পার্টির সম্মেলনছবি: AP

এবার পার্টি কংগ্রেসে নেতৃত্ব বদলের আগে এই সরকারি মালিকানার শিল্পসংস্থাগুলির দাপট কমানোর ডাক ওঠে, যেমন প্রতি দশ বছরে একবার উঠে থাকে৷ অপরদিকে হু'র মন্তব্য ছিল দ্ব্যর্থহীন: স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরগুলিতে রাষ্ট্রের উপস্থিতি ও প্রভাব বাড়াতে হবে৷ অপরাপর বাজারমুখী শিল্পগুলিতে বেশি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে৷ কিন্তু সিনোপেক কিংবা চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মতো তেলের কোম্পানি, অথবা হুয়াওয়েই টেকনোলজিস'এর মতো টেলিকম শিল্পসংস্থা হু'র মন্তব্যে সোৎসাহ সমর্থন জানিয়েছে৷

‘নেটিজেন'-রা কি বলছে

প্রেসিডেন্ট হু তাঁর বিদায়ী ভাষণে নিজের শাসনকালের যে গোলাপি ছবি এঁকেছেন, সে ব্যাপারে বিদ্রুপ করতে ছাড়েনি চীনের নেটিজেনরা৷ সেন্সরদের সব বাধা কাটিয়ে ইন্টারনেটে নানা ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেছেন অসন্তুষ্ট বা অসহিষ্ণু চীনবাসীরা৷

হু তাঁর ভাষণে উপমা দিয়ে বলেছিলেন: ‘‘আমাদের পুরনো পথে চললে হবে না, কেননা সেটা বন্ধ এবং অনমনীয়৷ আবার নিশান বদলে অশুভ পথে চললেও চলবে না৷'' জবাবে এক ইউজার চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সার্ভিস শিনা ওয়াইবো'তে লেখেন: ‘‘পথ নতুন হোক আর পুরনোই হোক, দুজোড়া ছেঁড়া জুতো পরে কি পথ চলা যায়?'' ওয়াইবো'তে আরেকজনের মন্তব্য ছিল, পুরনো পথ নয়, ভুল পথ নয়, আমরা চলেছি কানাগলি দিয়ে৷''

কৃষি এবং কৃষিজমি

শুক্রবার চীনের কৃষিমন্ত্রী হান চাংফু পার্টি কংগ্রেসে দেশের আরেকটি বিপদ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে দেন৷ কৃষিক্ষেত্রে জমি, পানি এবং কর্মীর অভাবে চীনের খাদ্য নিরাপত্তা বিপন্ন হতে চলেছে৷ বিগত ন'বছর ধরে চীনে খাদ্যশস্যের উৎপাদন একটানা বেড়ে চলেছে৷ কৃষিখামারগুলোতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পণ্য বাজারজাত করার পদ্ধতির উন্নতির মাধ্যমে দেশে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলেছে৷

ছোট ছোট খামারকে একত্রিত করে বড় খামার করেও দেশে জমির পরিমাণ বাড়ানো যায় না৷ অপরদিকে গাঁয়ের মানুষ জীবিকার সন্ধানে ক্রমেই আরো বেশি করে শহরে আসছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, শিল্পায়ন এবং নগরায়নের জন্য ক্রমেই আরো বেশি কৃষিভূমি বেদখল করা হচ্ছে৷ সেখানেও আবার দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে৷

কাজেই ভূমি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী সু শাওশি বলেছেন, শিল্পের জন্য কৃষিজমি দখল সীমিত করা হবে৷

এসি / এসবি (রয়টার্স, এএফপি, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য