1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিচককের প্রথম ছবি দুনিয়া দেখবে এই সপ্তাহে

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১

আলফ্রেড হিচকক৷ ফিল্মের দুনিয়ায় দুনিয়াজোড়া যাঁর নাম৷ তাঁর তৈরি প্রথম ছবির প্রিন্ট মিলেছে৷ লস অ্যাঞ্জেলেসে সে ছবি দেখানো হচ্ছে এ সপ্তাহেই৷

https://p.dw.com/p/12g3A
আলফ্রেড হিচককছবি: AP

আজব ব্যাপার বললেও কম বলা হয়৷ গ্রেটদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়তো বা হয়েও থাকে৷ কিংবদন্তি ব্রিটিশ ছবি করিয়ে আলফ্রেড হিচককের তৈরি প্রথম ছবি, যে ছবির নামগন্ধও কেউ জানত না, তার প্রিন্ট পাওয়া গেল অর্দ্ধেক পৃথিবী পেরিয়ে নিউজিল্যান্ডে৷ ছবিটি নির্বাক৷ সে ছবির বয়স আশি বছর৷ এবার সে ছবি দেখানো হবে৷ অনেকেই উত্তেজনায় অধীর৷ কারণ, এ ছবি আর কারও নয়, স্বয়ং হিচককের৷ তাও আবার তাঁর প্রথম ছবি৷ যাতে চিত্রনাট্য থেকে সম্পাদনা, কোরিওগ্রাফি থেকে সেট, সবকিছুই স্বয়ং করেছিলেন তিনি৷ নির্দেশনায় কাজ করেছিলেন সহকারী হিসেবে৷ ছবিটির নির্দেশনা দিয়েছিলেন গ্রাহাম কাটস৷ তাতে নাকি সেই গ্রাহাম কাটস-এর খানিকটা গোপন ঈর্ষাও কাজ করেছিল হিচককের প্রতি৷

Flash-Galerie 100 Jahre Hollywood
হিচককের ‘ভার্টিগো’ ছবির একটি দৃশ্য৷ ছবিটি ১৯৫৮ সালে মুক্তি পায়৷ছবি: AP

সে যা হোক, দ্য হোয়াইট শ্যাডো নামের এই যে হিচককের ছবিখানা, সেটার তিন রিল মিলেছে এ পর্যন্ত৷ যা দুষ্প্রাপ্য তো বটেই, নিঃসন্দেহে দেখবার মত কাজ৷ ছবি আসলে দুই ভগিনীর গপ্পো৷ যে দু'জনের একজন হল বড়ো ভালো মানুষ৷ আর দ্বিতীয়জন সারাক্ষণ ধূমপান করে, নাচতে ভালোবাসে, মদ্যপান করে এবং প্যারিসের রাতকাহিনীর সঙ্গে যে যুবতীর অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক৷ মনে রাখা ভালো, এ ছবিটি সেই নির্বাক যুগের৷

হোয়াইট শ্যাডো ছবিখানার সন্ধান যিনি দিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি হলেন জ্যাক মুর্তাঘ৷ নিউজিল্যান্ডের ফিল্ম সংগ্রহশালার প্রধান ফ্রাঙ্ক স্টার্কের মতে, এই মুর্তাঘ ছিলেন যেন ম্যাগপাই৷ পেশায় একজন ফিল্ম প্রোজেকশনিস্ট মুর্তাঘের হাতে ভালো কোন ছবির প্রিন্ট পড়লে সেটাকে সংগ্রহশালায় যত্ন করে রাখার কাজটি ভদ্রলোক করতেন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে৷ এই যে হিচককের প্রথম কাজ, সেও সেই উদ্যোগ থেকেই ওই মুর্তাঘ বা ম্যাগপাইয়ের সংগ্রহ৷

তো, সেই সংগ্রহের কাজটি মুর্তাঘ করেছিলেন বলেই এই আশি বছর পরে হিচককের প্রথম ছবির সঙ্গে পরিচিত হতে চলেছে গোটা দুনিয়া৷ বলা বাহুল্য, তার জন্য রসিকজনের আকাঙ্খা তো ক্রমশ বেড়েই চলবে৷ কারণ, ইংরেজিতে একটা কথাই আছে, মর্নিং শো'জ দ্য ডে৷ শুরুর ছবিটা এই গ্রেট মাস্টার কেমন করেছিলেন, তার মধ্যে নিশ্চয়ই লুকিয়ে ছিল তাঁর পরবর্তী প্রতিভার বিচ্ছুরণের কিছু অন্তত পূর্বাভাষ৷ যার মধ্যে সেই মানুষটির সৃজনের একটা উজ্জ্বল দিকের স্বাক্ষর রয়েছে৷

সে স্বাক্ষর আর কারও তো নয়, খোদ আলফ্রেড হিচককের৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক