1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর রিপোর্টে বুশ-এর সমালোচনা

সংবাদ ভাষ্য: ডানিয়েল শেশকেভিৎস/আব্দুল্লাহ আল-ফারূক১৬ জানুয়ারি ২০০৯

ওয়াশিংটন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ-এর সমালোচনা করা হয়েছে৷ মানবাধিকার প্রশ্নে সমালোচিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, চীন এমনকি ভারতও৷

https://p.dw.com/p/GZxQ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশছবি: AP

আর মানবাধিকার রক্ষায় ইতিবাচক উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত হয়েছে আফ্রিকার একাধিক দেশ৷

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট প্রকাশের জন্য এর চেয়ে বেশি সংকটময় পরিস্থিতি আর হতে পারে না৷ গাজা এলাকায় ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক হামলায় মারা যাচ্ছে মানুষ৷ তবে সুখের কথা ওয়াশিংটনে মি: বুশ-এর উত্তরসূরি হিসেবে হোয়াইট হাউজে আসীন হবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বারাক ওবামা৷ তাঁকে ঘিরে বিশ্ববাসীর বিরাট আশা - মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নেও৷

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই-এর মাঝে প্রেসিডেন্ট বুশ মানবাধিকারের বিষয়টিকে, বলা যেতে পারে, পিছনে ঠাঁই দিয়েছিলেন৷ তিনি বিদায় নিচ্ছেন৷ কার্যভার গ্রহণ করতে চলেছেন মার্কিন ইতিহাসের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তাঁকে নিয়ে আশা সারা বিশ্ব জুড়ে যে মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে এবার অ্যামেরিকা থেকেই আবার পাওয়া যাবে আলোর নিশানা৷ গুয়ান্তানামোর বন্দী শিবির যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ করে দেয়ার যে ঘোষণা করেছেন তিনি, তা এই ধরনের আশা জাগিয়ে তুলেছে৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর বার্ষিক রিপোর্টে অবশ্য এই মর্মে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে যে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে সরকার, গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে নিগ্রহের শিকার হচ্ছে মানুষ৷ ধর্মের নামে ভিন ধর্মের মানুষদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে অথবা হয়রানি করছে বিভিন্ন গ্রুপ৷ এই রিপোর্ট অনুযায়ী, কিউবায় সরকারবিরোধীদের এখনও রাজবন্দী হিসেবে কারাবন্দী থাকতে হয়৷ ইরানে মোল্লারা নারী ও শিশুদের ওপর নিগ্রহ চালাতে দ্বিধা করে না৷ মিয়ানমারে যে-সব ভিক্ষু শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা ও তাঁদের শত শত ভক্ত শাসকদের হাতে নৃশংস দলনের শিকার হচ্ছেন৷ গুয়ান্তানামোর কারণে সক্রিয় নিগ্রহকারী দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামও তালিকাভুক্ত হয়ে পড়েছে৷ রাশিয়া, ভারত অথবা চীনের মত আঞ্চলিক প্রভাবের অধিকারী অন্যান্য রাষ্ট্রও ভ্রান্ত স্বার্থের কারণে জাতিসংঘে সুনির্দিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চিহ্নিত করার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷ যেমন উজবেকিস্তানের ক্ষেত্রে রাশিয়া, জিম্বাবোয়ের মুগাবে সরকারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা দারফুরের পরিস্থিতি বা মিয়ানমারের ব্যাপারে চীনের এই ঘাটতির কথা বলা হয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে৷

তবে ঘানা, লাইবেরিয়া অথবা সিয়েরা লেওনে-র মত কিছু আফ্রিকান দেশে মানবাধিকার ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসাও করা হয়েছে এই রিপোর্টে৷ জর্জিয়া আর রাশিয়ার সংঘাত মোচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগও প্রশংসা পেয়েছে৷

মানবাধিকার ক্ষেত্রে কী করার আছে ? জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে শক্তিশালী করতে হবে৷ তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঢুকতে হবে পরিষদে৷ আশা করা যায় প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের পতাকা সমুন্নত রাখবে৷ মানবাধিকার রক্ষায় আরো সক্রিয় হতে হবে ইইউ-কেও৷ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সেখানেই সমৃদ্ধি পেতে পারে যেখানে মানুষ স্বাধীন ভাবে পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানবিক পরিবেশে জীবন যাপন করে৷ মানবাধিকার তাই উন্নতর এক ভবিষ্যতের জন্য ফলপ্রসূ বিনিয়োগ৷