1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্যোশাল মিডিয়া থেকে ভুয়া ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

৩০ আগস্ট ২০২২

উসকানিমূলক, জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে কিংবা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন ছয়টি ভুয়া ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷

https://p.dw.com/p/4GCpa
ছবি: Nelosa/Panthermedia/IMAGO

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়৷

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওসব ভিডিও সরানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত৷

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ‘সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে তৈরি করা ভুয়া ও উসকানিমূলক' ভিডিওগুলো সরিয়ে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে৷ সেইসঙ্গে জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- এমন ভুয়া ভিডিও এবং সংবাদ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ না হয়, এবং সেগুলো প্রকাশের আগে আইন অনুযায়ী যাচাই করার জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় আসতে ফেসবুক ও ইউটিউবকে একটি নীতিমালা করতে বলেছে আদালত৷

হাইকোর্টের নির্দেশে ফেসবুক-ইউটিউবকে ওই নীতিমালা তৈরি করে এ বিষয়ে বিটিআরসি এবং জিডিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে৷

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের ‘নিস্ক্রিয়তা' কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত৷

ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মেটা বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়েছে এই রিট মামলায়৷

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং জজ কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন৷ আবেদনকারীদের পক্ষে মঙ্গলবার শুনানি করেন আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান মুন্সী৷ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ৷

এর আগে গত ২১ অগাস্ট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান৷

সেখানে বলা হয়, ‘‘সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে৷ বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে৷

আইনজীবী আরাফাত হোসেন খানের উকিল নোটিসে আরো বলা হয়, ‘‘এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে৷ পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বাংলাদেশেরও৷’’

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য