1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভালবাসি দেশ

২৪ মে ২০১২

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অভিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা যেন স্বদেশের সামাজিক উন্নয়নে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারেন, সেই প্রচেষ্টা নিয়ে কাজ করছে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংস্থা বাসুগ৷

https://p.dw.com/p/151ws
ছবি: DW

জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পরিবেশ ও জ্বালানি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডস এ বসবাসকারী সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্বদেশের জন্য অভিবাসীরা কী ধরণের ভূমিকা রাখতে পারেন – সেই বিষয়ে তিনি উপস্থাপন করেন বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রসূত প্রবন্ধ৷ সম্মেলনের অবসরে ডিডাব্লিউ এর সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানালেন স্বদেশের উন্নয়নে তাঁর হাতে গড়া ‘বাসুগ ডায়াসপোরা অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' নামক সংস্থার নানা কর্মকাণ্ডের কথা৷

‘বাসুগ'এর পথচলা শুরুর কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘‘আমরা মূলত নেদারল্যান্ডস এ ‘বাসুগ' এর কাজ শুরু করি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পরে৷ তখনও এটা নিবন্ধিত হয়নি৷ তখন আমরা বাংলাদেশের জন্য দুর্যোগ পরবর্তী সাহায্যের জন্য তহবিল সংগ্রহ করি৷ আমি নিজে দাতা সংস্থা নোভিব এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশে যায় সেখানে দুর্যোগ পীড়িত মানুষের পুনর্বাসনে সাহায্য সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করার জন্য৷ তখন দেশ থেকে ফিরে এসে আমরা বাসুগ প্রতিষ্ঠা করি৷ কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নেদারল্যান্ডস শিল্প ও বণিক সমিতির দপ্তরে নিবন্ধিত হয় ২০০৫ সালে৷ এরপর আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করি৷''

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া আরো জানান, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির উপর বাসুগ-এর একটি প্রকল্প ইতিমধ্যে ইউরোপীয় কমিশন – ইসি এবং জাতিসংঘের বিবেচনায় অন্যতম সেরা প্রকল্প হিসেবে মনোনীত হয়৷ এরপর ২০০৯ সালে ইসি সদর দপ্তরে সেই প্রকল্পের নানা দিক নিয়ে প্রদর্শনীও করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এমনকি এই প্রকল্পের সাফল্য দেখার পর ইসি'র সহায়তায় বাসুগ শ্রীলঙ্কার জনগোষ্ঠীর জন্যও একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে৷ ধীরে ধীরে বাসুগ-এর কার্যক্রম এতোটাই বিস্তার লাভ করেছে যে, এটি বর্তমানে ইসি, ডাচ সরকার, ইউএনডিপি ও অক্সফ্যাম নোভিব এর সহায়তায় সহযোগী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ ইউরোপের চারটি দেশে কাজ করছে৷

বাসুগ'এর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি জানান, ‘‘বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছে সেগুলো যেন টেকসই সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগে সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷ ইতিমধ্যে আমরা এ সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছি৷ এছাড়া হবিগঞ্জে ১৪/১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশির অর্থায়নে একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানে এখন সাত হাজার নিবন্ধিত ডায়াবেটিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ এছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দিয়ে কিছু অঞ্চলে মাছ চাষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ ফলে এসব প্রকল্পে স্থানীয় অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং দেশের মানুষ লাভবান হচ্ছে৷''

বাসুগ'এর কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে আরো বিভিন্ন দেশে এবং পরিমণ্ডলে সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া৷

সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য