1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

১২ জানুয়ারি ২০১৩

বসন্ত নাগাদ আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে আফগান বাহিনী, এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং বারাক ওবামা৷ পূর্বনির্ধারিত সময়সূচির আগেই বিদেশি বাহিনী সহযোগীর ভূমিকায় যেতে পারবে৷

https://p.dw.com/p/17Iw7
U.S. President Barack Obama meets with Afghanistan's President Hamid Karzai in the Oval Office of the White House in Washington, January 11, 2013. REUTERS/Jason Reed (UNITED STATES - Tags: POLITICS MILITARY)
ছবি: Reuters

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি আরো ত্বরান্বিত করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ শুক্রবার ওয়াশিংটনে হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সেকথাই বললেন বারাক ওবামা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘আগামী বসন্ত থেকে আমাদের সেনারা এক ভিন্ন মিশনে থাকবে৷ তাহচ্ছে আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং সহযোগিতা করা৷''

বলা প্রয়োজন, গত বছর শিকাগোতে অনুষ্ঠিত ন্যাটো বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়৷ সেই রূপরেখায় ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে করণীয় কিছু বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ সেসব বিষয় সামনে রেখেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা প্রদান করলেন৷

U.S. troops with the NATO led-International Security Assistance Force (ISAF) attend a security transition from NATO troops to Afghan forces in Nangarhar, December 5, 2012. REUTERS/ Parwiz (AFGHANISTAN - Tags: MILITARY TPX IMAGES OF THE DAY)
২০১৪ সালের পরও ঠিক কতজন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি ওবামাছবি: Reuters

দুই শীর্ষ নেতা তাদের বৈঠকে কারাবন্দিদের দায়িত্ব আফগানদের হাতে ছেড়ে দেওয়া এবং সমঝোতা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে দোহায় একটি তালেবান কার্যালয় খোলার বিষয়েও ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন৷ প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি আফগানদের জন্য এই সংবাদ নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছি যে, আফগানিস্তান একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের সম্পর্ক থাকবে৷''

প্রসঙ্গত, ন্যাটোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করা হবে৷ কিন্তু এই সময়সীমার পরও কিছু মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থেকে যাবে কিনা, তা নিয়েও এখন আলোচনা চলছে৷ দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে ২০১৪ সাল পরবর্তী সময়ে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ তবে সেক্ষেত্রে আফগান সেনাদের সহায়তা এবং এখনো টিকে থাকা আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে সেনাদের কাজ, জানান ওবামা৷

২০১৪ সালের পরও ঠিক কতজন মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকতে পারে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি ওবামা৷ উল্টো দিনকয়েক আগে শোনা যাচ্ছিল, আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে কারজাই-ওবামা বৈঠকের পর এধরণের কিছু ঘটার সম্ভাবনা আর থাকছে না৷ বরং গণমাধ্যমের ধারণা, আফগানিস্তানে কয়েক শত থেকে বিশ হাজার পর্যন্ত মার্কিন সেনা থেকে যেতে পারে৷

এআই / এসি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য