1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরীয় সেনাবাহিনী জিশর আল শোগুরে অভিযান চালালো

১২ জুন ২০১১

খবর যেটুকু আসছে, তা হয় সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে, নয়তো পলায়নপর বাসিন্দা আর উদ্বাস্তুদের কাছ থেকে৷ এখন প্রশ্ন হল: জিশর আল শোগুরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরছে কে অথবা কারা?

https://p.dw.com/p/11Z2X
শূন্য শহরে অভিযান?ছবি: dapd

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বিবরণ অনুযায়ী সেনাবাহিনী অজানা বন্দুকধারীদের সঙ্গে জোরালো যুদ্ধ চালাচ্ছে৷ কিন্তু কারা এই বন্দুকধারী? সে প্রশ্ন গত সপ্তাহে সরকারপক্ষ যখন জিশর আল শোগুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ জন সদস্যের নিহত হবার খবর দেয়, তখনই উঠেছে৷ সরকার দায়ী করে ‘‘অস্ত্রধারী গুণ্ডার দল''-কে৷ উদ্বাস্তুরা এবং বিরোধীরা বলছে, সেনাবাহিনীর মধ্যেই বিদ্রোহ ঘটেছে৷ যে সব সৈন্য বেসামরিক নাগরিকদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার করেছে, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়৷ এক উদ্বাস্তু মহিলা তুর্কি টিভি'কে বলেছেন, জিশর আল শোগুরে সেই হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতেই বিভেদ দেখা দেয়৷ দুই দল পরষ্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, অথচ দোষ দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর৷

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এখনও জিশর আল শোগুরের ভিতরে ও আশেপাশে তীব্র যুদ্ধের কথা বলছে৷ অনামা সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা নাকি শহরে অবস্থান নিয়েছে৷ সেনারা শহরে ঢোকার পথে ও বিভিন্ন সেতু থেকে বিস্ফোরক সরিয়েছে৷ বহু বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের কাছে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে৷ এমনকি জাতীয় হাসপাতাল থেকে বন্দুকধারীদের সরাতে হয়েছে৷

NO FLASH Unruhe und Gewalt in Syrien
জিশর আল শোগুরের উপকণ্ঠে সেনাবাহিনী৷ছবি: dapd

কিন্তু তা কতোটা বিশ্বাসযোগ্য? জিশর আল শোগুর তো অভিযানের আগেই প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছিল৷ শহরের ওপর যখন সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণ চলেছে, তখন তুরস্কের দিকে উদ্বাস্তুর স্রোত বেড়েছে৷ তাদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে সৈন্যরা জিশর আল শোগুরের কাছে মাঠের ফসল জ্বালিয়ে দিয়েছে৷ গরু-বাছুর পুড়িয়ে মেরেছে৷ এখন এটা সেনাদের কাজ, অথবা সেনাবাহিনীর কোন অংশের কাজ, এ'সব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে৷

তুরস্ক উদ্বাস্তুদের ঢুকতে দিচ্ছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে তাদের খোলাখুলি মিশতে দিচ্ছে না৷ অপরদিকে উদ্বাস্তুর স্রোত আরো বাড়লে বাফার জোন সৃষ্টির কথা বলছে৷ এটাও রহস্যের পর্যায়ে পড়ে৷ অথবা ক্রমশ প্রকাশ্যের পর্যায়ে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম