1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় পালিত হচ্ছে ‘শোক ও ক্রোধ’ দিবস, জাতিসংঘে বৈঠক

৩১ জানুয়ারি ২০১২

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা মঙ্গলবার তাকিয়ে থাকবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দিকে৷ কারণ সেখানে আজ আলোচনায় মিলিত হচ্ছেন পশ্চিমা নেতারা৷ সঙ্গে আরব লিগ৷ তবে রাশিয়ার কারণে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের৷

https://p.dw.com/p/13tgy
সিরিয়ায় চলছে বিক্ষোভছবি: Reuters

আলোচনার বিষয়

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবনা পাশের চেষ্টা করা হবে৷ প্রস্তাবনার খসড়াটি ইতিমধ্যে জাতিসংঘে পেশ করা হয়েছে৷ আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন মার্কিন, ব্রিটিশ ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ এছাড়া আরব লিগের প্রধান নাবিল আল আরাবিও উপস্থিত থাকবেন৷ তারা সবাই মিলে প্রস্তাবনার বিপক্ষে থাকা রাশিয়াকে পক্ষে আনার চেষ্টা করবেন৷ তবে বৈঠকের আগে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেনেডি গাতিলোভ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেছেন, জাতিসংঘের প্রস্তাব পাশ হলে সিরিয়ায় ‘গৃহযুদ্ধ' শুরু হতে পারে৷

প্রস্তাবনায় কী কী আছে

প্রস্তাবনায় প্রেসিডেন্ট আসাদকে তাঁর এক ডেপুটির কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে৷ আর ঐ ডেপুটির কাজ হবে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটা ঐকমত্যের সরকার গঠন করা৷ মূলত আরব লিগ এই প্রস্তাবনা তৈরি করেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স একে সমর্থন জানিয়েছে৷ তবে রাশিয়া বলছে, আসাদ সরকারকে হটানোর এই প্রস্তাবে তারা রাজি নয়৷ উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো সিদ্ধান্তে রাশিয়ার ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছ৷ এর আগে গত বছরও সিরিয়া প্রসঙ্গে তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল রাশিয়া৷ তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন আশা করছেন, এবার আন্তর্জাতিক বিশ্বের দাবি পূরণ করতে সক্ষম হবে নিরাপত্তা পরিষদ৷

Syrien Demonstration in Homs Demonstranten rufen nach Hilfe von der UN
সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বানছবি: AP

‘শোক ও ক্রোধ' দিবস

সোমবার সিরিয়ায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিরোধীরা৷ নিহতদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ৷ সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল, এসএনসি এই দিবসের ডাক দিয়েছে৷ তারা নিহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করতে মসজিদ ও গির্জার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে৷ এছাড়া সাধারণ মানুষকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখনো কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় তার সমালোচনা করেছে এসএনসি৷ উল্লেখ্য, এসএনসি হলো আসাদের বিরোধিতা করা গোষ্ঠীগুলোর একটি সংগঠন৷

হতাহতের সবশেষ

সঠিকভাবে এটা জানা সম্ভব নয়৷ কেননা সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হয় না৷ তবে জাতিসংঘের হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫,৪০০ জন নিহত হয়েছে৷ তবে এই সংখ্যাটা বেশ কয়েকদিন পুরনো৷ জাতিসংঘ বলছে, নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে হালনাগাদ থাকা সম্ভব নয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য