1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাস্তিমূলক কিছু নেই

১১ জুলাই ২০১২

রাশিয়া সিরিয়ার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে যে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কোনো উল্লেখ নেই৷ অপরদিকে বিদ্রোহীপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতেও মস্কো তার অবস্থান বজায় রেখেছে৷

https://p.dw.com/p/15VAX
ছবি: dapd

দৃশ্যত রাশিয়ার প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হল, সিরিয়ায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক মিশনের মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়ানো৷ নিরাপত্তা পরিষদকে আগামী ২০শে জুলাই’এর আগেই ইউএনএসএমআইএস’এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে, কেননা মিশনটির প্রথম ৯০ দিনের মেয়াদ সেদিনই শেষ হচ্ছে৷ মুশকিল এই যে, মিশনটির কাজ আদতে হবার কথা ছিল আসাদ প্রশাসন ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির তদারক করা৷ কিন্তু কোনোপক্ষই তার ধার ধারেনি৷ অপরদিকে জাতিসংঘের বিশেষ দূত কোফি আনান তাঁর ছ’দফা শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হবার কথা স্বীকার করার পরেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সেই প্রচেষ্টায় স্বয়ং ইরানের দ্বারস্থ হতেও তিনি দ্বিধা করেননি৷

আনান চাইছেন প্রথমে রক্তপাত বন্ধ করতে৷ কিন্তু কোনো রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া সেটা সম্ভব হবে না বলেই মনে হচ্ছে৷ পশ্চিমা শক্তিরা সিরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা ভাবছে - অর্থাৎ চাপ বৃদ্ধি করা৷ কিন্তু রাশিয়া - এবং চীন - তাদের মিত্র বাশার আল-আসাদ’কে আরো দুর্বল করতে দিতে রাজি নয়৷ এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রস্তাবের সুরটা হল, ইউএনএসএমআইএস এখন রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করুক৷

Syrien UN Kofi Annan zu Gespräche in Damaskus Pressekonferenz
জাতিসংঘের বিশেষ দূত কোফি আনানছবি: Reuters

ওদিকে রাশিয়া দৃশ্যত দেখাতে চায় যে, তারা শুধু আসাদের পক্ষেই নয়, বিদ্রোহীদের সঙ্গেও তারা কথাবার্তা বলার চেষ্টা করছে৷ এই কারণে গত সপ্তাহে মধ্যমপন্থি বিরেধী বুদ্ধিজীবী মিশেল কিলো’কে মস্কোয় দেখা গেছিল৷ আজ সেখানে গিয়েছিলেন বিদ্রোহীদের সিরীয় জাতীয় পরিষদ বা এসএনসি’র নতুন কুর্দ প্রধান আবদেল বাসেত সেইদা স্বয়ং৷

এসএনসি’র মস্কো সফর থেকে বিশেষ কোনো লাভালাভ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না৷ অনেকটা ঐ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার খসড়া প্রস্তাবের মতোই, যাকে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের অধিকাংশের প্রত্যাশা থেকে কম’৷ সেইদা মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে বলেছেন বটে যে, সিরিয়ায় বস্তুত একটি বিপ্লব চলেছে৷ অপরদিকে তিনি স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়া আসাদকে অপসারণের ডাকে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে৷ আর এসএনসি’র সাবেক প্রধান বুরহান ঘালিয়ুন, যিনি এক বছর আগেও মস্কোয় গেছিলেন, তিনি বলেছেন, এই এক বছরে রাশিয়ার অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি৷

এসি / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য