1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া প্রশাসনের ওপর ইইউ'এর নিষেধাজ্ঞা

১৪ নভেম্বর ২০১১

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে সোমবার৷

https://p.dw.com/p/13AMg
আরব লিগের পর এবার ইইউ’ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া অবস্থান নিলছবি: picture-alliance/dpa

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রাখার কারণে আরব লিগ সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করায়, ঘটনাটির তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম৷

সোমবারের এই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নতুন কিছু নয়৷ সিরিয়ার মানুষের ওপর সরকারি বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর আগেই একটি ‘কালো তালিকা' প্রস্তুত করেছিল৷ তাই আজ ই.ইউ.-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দীর্ঘ আলোচনা শেষে, আসাদ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আরো ১৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, ঐ ‘কালো তালিকা'-য় মোট ৭৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্গত করা হলো৷

আরব লিগ সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করার পর থেকে আসাদ প্রশাসনের ওপর চাপ আরও বেড়ে গেছে৷ কিন্তু এরপরও বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা ত্যাগ করতে রাজি নন৷ তাঁর এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ‘একগুঁয়ে' বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাঁ জুপ৷ এদিকে, জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বাশার আল-আসাদের উদ্দেশ্যে সিরিয়ার স্বার্থে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ কিন্তু তাতেও এখনও পর্যন্ত কোনো লাভ হয় নি৷ ওদিকে, দামেস্ক থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের জন্য আরব লিগ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসেম৷

Syrian Foreign Minister Walid al- Moallem
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমছবি: picture-alliance/landov

গত শনিবার কায়রোয় আরব লিগ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোটে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ সংস্থাটির ১৮টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় এবং ইরাক ভোটদানে বিরত থাকে৷ বাকি ১৪টি সদস্য দেশের ভোটেই পাস হয় প্রস্তাবটি৷ জানা যায়, ১৬ই নভেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে৷ তবে স্বাভাবিকভাবেই, আরব লিগ-এর এহেন সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সিরিয়া৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম সোমবার আরব লিগ-এর এই সিদ্ধান্তকে একটি ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ' বলে উল্লেখ করেন৷ আরব লিগ'এর সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংগঠনটির তুমুল সমালোচনাও করেন তিনি৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম বলেছেন, তাঁর সরকার এই চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে কিছুতেই প্রস্তুত নয়৷ তাছাড়া, আরব লিগ-এর এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জার৷ এর ফলে সিরিয়া আরো শক্তিশালী একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে তাঁর দাবি৷ তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়াতে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্য আমি দুঃখিত৷ কিন্তু আমি মনে করি, খুব শীঘ্রই আমরা এ ধরনের একটি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম হতাম৷ তাই আরব লিগ-এর এমন একটা সিদ্ধান্ত আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না৷''

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের দাবিতে সিরিয়ায় চলমান আন্দোলনে, নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য