1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজয় ১৪৫৩

২ মার্চ ২০১২

বর্তমান দুনিয়ায় তুরস্কের অর্থনৈতিক অবস্থা যথেষ্টই সবল৷ আঞ্চলিক কূটনৈতিক শক্তিও বেশ জোরদার৷ রাষ্ট্রের এই সুন্দর সময়টিতেই দেশের গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে মহাকাব্যিক এক সিনেমা৷

https://p.dw.com/p/14DGs
ছবি: picture-alliance/ dpa

তুর্কি ভাষায় সিনেমাটির নাম ‘ফেতি ১৪৫৩'৷ যাকে আমরা বাংলায় বলতে পারি ‘বিজয় ১৪৫৩'৷ প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করে ছবিটি বানিয়েছেন পরিচালক ফারুক আকসয়৷ তুরস্কের সিনেমার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি৷

গত দু'সপ্তাহ আগে মুক্তি পায় ছবিটি৷ আর এর পর থেকেই তুরস্কের বক্স অফিসের পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙে সুপার-ডুপার হিট হয়েছে ছবিটি৷ শুধু তুরস্ক নয়, জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছবিটির প্রদর্শনী চলছে৷ আর এ মাসেই মধ্যপ্রাচ্যেও এর প্রদর্শনী শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এর প্রযোজক৷

বিশ্ব-চলচ্চিত্র অঙ্গনে তুরস্কের সিনেমা নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই বলে যে খেদ ছিলো, মনে হচ্ছে সে দুঃখও ঘুচিয়ে দেবে ‘বিজয় ১৪৫৩'৷

জগত জুড়ে সাড়া ফেলা সিনেমা ‘ট্রয়' বা গ্রিকদের ঐতিহ্য তুলে ধরা ছবি ‘থ্রি হান্ড্রেড'-এর মতোই স্বদেশের বীরত্ব গাথা বর্ণনা করেছে ‘বিজয় ১৪৫৩'৷ তরবারি যুদ্ধ, কামান, রক্ত, সব যেন বাস্তব হয়ে উঠেছে ক্যামেরার ভাষায়৷

ছবির মূল চরিত্র অটোমান সম্রাট সুলতান দ্বিতীয় মেহমেত, যাকে আজও জাতীয় আদর্শ হিসেবে গণ্য করা হয়৷ তিনি ১৪৫৩ সালে বিরাট এক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পরাজিত করেন সে সময়কার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শেষ শাসক কনস্টানটাইন'কে৷ এই যুদ্ধ ছিলো মূলত সাম্রাজ্য, শক্তি আর ইসলাম ও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের লড়াই৷ সেই যুদ্ধে মুসলিম সম্রাট সুলতান মেহমেত বিজয়ী হবার পর পরাজিত খ্রীস্টান নাগরিকদের ওপর জুলুম করেন নি তিনি৷ এমনকি যে যার ধর্ম পালনে স্বাধীন বলেও ঘোষণা করেন রাজা৷

‘বিজয় ১৪৫৩' সিনেমাটি তাই শুধু সুলতান মেহমেত'এর ক্যারিশমা, বীরত্ব আর সাহসের বয়ানই নয়, এটিতে উজ্জ্বল করে তোলা হয়েছে প্রাচীন তুরস্কের পরমত সহিষ্ণুতার কথাও৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য