1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৭০০ গার্মেন্টস কারাখানা ত্রুটিপূর্ণ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ মে ২০১৩

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণে সরকার নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের ঘোষণা দিয়েছে৷ তিন মাসের মধ্যে এই বোর্ড নতুন মজুরি নির্ধারণ করবে৷ তবে তা কার্যকর হবে চলতি বছরের ১লা মে থেকে৷

https://p.dw.com/p/18Wie
Workers toil on the collapsed garment factory building on Tuesday 30, April, 2013 in Savar, near Dhaka, Bangladesh. Emergency workers hauling large concrete slabs from a collapsed 8-story building said Tuesday they expect to find many dead bodies when they reach the ground floor, indicating the death toll will be far more than the official 386. One estimate said it could be as high as 1,400. The illegally constructed, 8-story Rana Plaza collapsed on the morning of April 24, bringing down the five garment factories inside.(AP Photo/Ismail Ferdous)
ছবি: picture alliance/AP Photo

পোশাক শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান শ্রমমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইস্রাফিল আলম এমপি৷ তিনি বলেন, বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এক বেঠকে সিধান্ত হয়েছে যে, বোর্ডের প্রধান হবেন একজন জেলা জজ৷ বোর্ডে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন৷ আর একজন বিশেষজ্ঞ থাকবেন স্বাধীন সদস্য হিসেবে৷ পাঁচ সদস্যের এই বোর্ড আগামী তিন মাসের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঠিক করবে৷ তবে নতুন মজুরি যখনই নির্ধারণ করা হোক না কেন, তা বাস্তবায়ন হবে ১লা মে থেকে৷

জানা গেছে, রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যে নেতিবাচক ‘ইমেজ' তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতেই পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর এই পদক্ষেপ৷ এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়৷ তাতে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০০০ টাকা৷ সেই সময় মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ইকতেদার আহমেদ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় ও মান, মূদ্রাস্ফিতি, খাদ্য, চিকিত্‍সা এবং আবাসন খরচসহ নানা দিক বিবেচনায় রেখে মজুরি নির্ধারণ করা হয়৷ ২০১০ সালে মালিক, শ্রমিক, সরকার – সব পক্ষের ঐক্যমতের ভিত্তিতেই মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ তাই তিনি আশা করেন, এবার নতুন মজুরি নির্ধারণে অবশ্যই যেন ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী প্রতিবছরের মূদ্রাস্ফিতির হিসাব বিচেনায় নেয়া হয়৷

এদিকে বণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের জানিয়েছেন, সারাদেশের পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে ৭০০ কারখানাকে ত্রুটিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এসব ত্রুটি নানা ধরণের – কোনোটির ভবন ঝঁকিপূর্ণ, কোনোটাতে আবার অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পর্যপ্ত নয়৷ এর মধ্যে ঢাকায় ১৬টি, চট্টগ্রামে ৪টি এবং নারয়ণগঞ্জে ২টি কারখানানাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এই ২২টি কারাখানা বন্ধ করে দেয়া হবে৷ বাকি কারখানাগুলোকে ত্রুটিমুক্ত করতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে৷ তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত করা না হলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

বাংলাদেশে চার হাজারের মতো পোশাক কারখানা আছে৷ এসব কারখানায় প্রায় ৩৬ লাখ পোশাক শ্রমিক কাজ করেন, যাদের অধিকাংশই নারী৷ বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ৷ চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান৷ তবে পোশাক শ্রমিকদের মাসে গড়ে আয় ৩৮ মার্কিন ডলারের চেয়ে বেশি নয়৷ বলা বাহুল্য, এই মজুরি বিশ্বের সর্বনিম্ন৷ আর শ্রমিকদের নিরপত্তা এবং কাজের পরিবেশও প্রশ্নের মুখে৷ মজুরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ মনে করেন, শুধু মজুরি বাড়ানোই যথেষ্ঠ নয়, শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরিও বাড়াতে হবে৷ তাদের নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করলেই তবে প্রকৃত মজুরি বাড়বে৷ তিনি বলেন, পোশাক শিল্প সাধারণ বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ শিল্প নয়৷ কিন্তু অবহেলা আর মুনাফালোভীদের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে৷ বাংলাদেশের পোশাক কারখানা ‘মৃত্যুকূপ' – এই দুর্নাম ঘুচাতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য