1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২৮৯ সাংবাদিককে নির্যাতন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ জানুয়ারি ২০১৩

রাষ্ট্রযন্ত্র সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ সে কারণে সাংবাদিকরা আরো বেশি নির্য়াতনের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশে৷ এছাড়া, সরকারের কোনো কোনো অঙ্গের সদস্যরাও সরাসরি সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িয়ে পড়ছেন৷

https://p.dw.com/p/17JhJ
Protest against Journalist couple murder in Dhaka Journalists on Sunday warned of waging a movement for the resignation of the home minister if the killers of the journalist couple Sagar Sarowar and Meherun Runi are not arrested in 24 hours. Sagar Sarowar worked for DW (Bengali) as editor from 2008 to 2011. He left DW last year. DW correspondent Harun Ur Rashid Swapan shared these photos for online use.
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার'-এর হিসেব অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশে ২৮৯ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এর মধ্যে নিহত হয়েছেন পাঁচজন সাংবাদিক৷ আহত হয়েছে ১৬১ জন, ৬৩ জন হুমকির শিকার হয়েছেন আর ১০ জন শিকার হয়েছেন আক্রমণের৷ এঁদের মধ্যে ৫০ জন সাংবাদিক পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন৷ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, রাষ্ট্র সাংবাদিকদের নিরপত্তার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয় না৷ তাই নির্যাতনকারীরা উৎসাহিত হয়৷ এমনকি সরকারের ভূমিকার কারণেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালায়৷

Police officers carry the bodies of two journalists who were found stabbed to death at their home in Dhaka, Bangladesh, Thursday, Feb. 11, 2012. Police officer Imam Hossain said authorities are investigating the killings early Saturday of Sagar Sarwar and his wife, Mehrun Runi. Sarwar was news editor of private TV station Massranga and Runi worked as a reporter at another private television, ATN Bangla. (Foto:Zia Islam/AP/dapd)
সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে চলছে টালবাহানাছবি: dapd

তিনি বলেন, ফেনীর সাংবাদিক টিপু সুলতানের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী এবং তার বাহিনীর হামলার কথা সারা দুনিয়া জানে৷ অথচ সেই নির্যাতনের মামলাটি বর্তমান সরকারের আমলে প্রত্যাহার করা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়৷ আর সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে চলছে টালবাহানা৷ এতেই সাংবাদিকদের ব্যাপারে সরকারের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷

ইলিয়াস খান বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকারের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে যখন এত উদাসীনতা, সেখানে সাংবাদিকদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই৷

‘অধিকার'-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে ২২১ জন, ২০১০ সালে ২৩১ জন এবং ২০১১ সালে ২৫৬ জন সাংবাদিক বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য