1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবার প্রেসিডেন্ট

২৫ জুন ২০১২

মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী মোহাম্মদ মুরসি সোমবার সরকার গঠনের কাজ শুরু করেছেন৷ সব দল থেকে লোক নিয়ে একটি জোট সরকার গঠন করতে চান তিনি৷

https://p.dw.com/p/15KqM
ছবি: AP

সোমবার দিনের শুরুতে মুরসি তাঁর স্ত্রী সহ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ঘুরে দেখেন৷ যেখানে একসময় ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক থাকতেন৷ এরপর তিনি চলে যান প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ে৷ সেখানে তিনি সামরিক পরিষদ স্কাফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাদের মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেন৷ এর আগে রবিরার ফলাফল ঘোষণার পরপরই দেয়া এক ভাষণে মুরসি বলেন যে, তিনি মিশরের সব মানুষের প্রেসিডেন্ট হতে চান৷ এ লক্ষ্যে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে পদত্যাগও করেছেন৷

মিশরে গত কদিনে সামরিক পরিষদ তাদের হাতে অনেক ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছে৷ ফলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অনেকখানি কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের যে বিশাল আশা নিয়ে মুরসি প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সেটা তিনি পূরণ করতে পারবেন কীনা সেটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷

Ägypten Kairo neuer Präsident Mursi Wahlsieg
সমর্থকদের উল্লাসছবি: Reuters

সামরিক পরিষদ যে কী পরিমাণ প্রভাব ফেলতে পারে সেটা বোঝা যায় আজকে মুরসির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে৷ দেশটির মূল ক্ষমতা যে এখন কোথায় মুরসির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যাত্রা তার একটা প্রতীকি চিত্রায়ণ৷ এছাড়া ব্রাদারহুড সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক পরিষদের সঙ্গে গত সপ্তাহে তাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আগামী ক’দিনের মধ্যে সেগুলোর ঘোষণা দেয়া হবে৷ এসব তথ্য থেকে এটা পরিস্কার যে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব করা হয়েছে৷ তাই মুরসি যে আসলে কী করতে পারবেন সেটা নিয়ে মিশরীয়দের মধ্যে দ্বিধা থাকতেই পারে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মুরসিকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু নির্বাচনের ফলাফলকে স্বাগত জানালেও সেদেশের গণমাধ্যমে মুরসির মতো এক ইসলামপন্থীর বিজয়কে ‘মিশরের জন্য অন্ধকার' বলে মন্তব্য করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে মিশর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো৷ আবার ঠিক একই কারণে ঐসময় থেকে ইরানের সঙ্গে মিশরের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে আছে৷ এবার মিশরে মুরসির বিজয়ে পরিস্থিতি উল্টো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ ইতিমধ্যে ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরসি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা তাঁর অন্যতম একটি কাজ হবে৷ এছাড়া ইরানকেও মুরসির বিজয় নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মনু নবনির্বাচিত মুরসিকে সব রাজনৈতিক দল ও সব মিশরীয়র হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন৷

জেডএইচ/ এএইচ(এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য