1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদের উচ্চকক্ষে লোকপাল বিল নিয়ে জোরালো বিতর্ক

২৯ ডিসেম্বর ২০১১

সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় লোকপাল বিল পাশ হবার পর বৃহস্পতিবার তার ওপর বিতর্ক শুরু হয় উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়৷ বিরোধী পক্ষের দাবি, বিনা সংশোধনে এই বিল পাশ করা যাবে না৷শরিকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরও একই মত৷

https://p.dw.com/p/13bQH
বিজেপি নেতা অরুণ জেটলিছবি: UNI

ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় লোকপাল বিল নিয়ে জোরালো বিতর্ক শুরু হয় সরকার বনাম বিপক্ষ দলের৷এই বিলের বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি তুলে ধরে বহু সংশোধনের দাবি জানায় বিপক্ষ দল৷ তাতে সায় দেয় সরকারের শরিক তৃণমূল কংগ্রেসও ৷

সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে বহু৷ তারমধ্যে প্রধান হলো, এক, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুন্ন রাখতে হবে৷ অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার লোকপালের ধাঁচে রাজ্যে লোকায়ুক্ত গঠন বাধ্যতামূলক করে চেয়েছে৷ লোকায়ুক্ত গঠনের সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার৷ এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি৷ দুই, লোকপাল নিয়োগ ও বরখাস্ত করার ক্ষমতা নিজের হাতে রেখেছে সরকার৷ এটা গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিন, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখতে হবে৷

রাজ্যসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷ বিজেপি সেটাকে কাজে লাগাতে চাইবে৷ সেক্ষেত্রে বিকল্প কী ? নির্দল ও অন্য ছোট দলের সমর্থন আদায় করে বিল পাশ করা৷ দুই, বিতর্কশেষে ভোটাভুটি না করা৷ তিন, সংশোধনীর জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে বিলটি পাঠানো৷ সংসদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে বিলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত অন্তত এই অধিবেশনে৷

বিলের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেন, এই বিল সংবিধানের দিক থেকে ভঙ্গুর৷ বিজেপি লোকপাল চায়, কিন্তু তা হতে হবে সঠিক সাংবিধানিক পথে৷ লোকায়ুক্ত গঠন রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়৷ দুর্নীতি দমন করা আর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুন্ন রাখার মধ্যে কোন স্ব-বিরোধিতা নেই৷

দ্বিতীয়ত, সরকার লোকপালকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে চায়, কিন্তু তদন্ত শাখা সরকারের হাতে রাখলে তা এক খেলনায় পরিণত হবে৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে স্ব-শাসিত করতে হবে এমনটাই বলেন বিজেপি নেতা৷

উত্তরে কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনুসিংভি বিজেপির কাছে সরাসরি জানতে চান তারা এই বিল পাশ করাতে রাজি আছে কিনা৷ না চাইলে অক্ষম অজুহাত দিয়ে দেশকে ধোঁকা দেয়া ঠিক নয়৷

বিজেপি এমন বিল চাইছে যা সরকারের মাথার ওপর এক সুপার স্ট্রাকচার হিসেবে কাজ করবে৷ সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করবে৷ লোকপাল সিবিআই-সিভিসিকে ধবংস করে নয়৷ তদন্তকারী দুটো সংস্থা একে অপরের পরিপূরক এমনটাই মনে করেন কংগ্রেস নেতা সিংভি৷

পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, লোকপাল বিলের নেপথ্যে চলেছে এক রাজনৈতিক খেলা ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে৷ মনে মনে কোনো দলই চায়না প্রকৃতই কড়া লোকপাল বিল৷ আজ যারা বিরোধী আসনে, ভবিষ্যতে তারা বসতে পারে গদিতে৷ তাদেরকেও তখন কড়া লোকপালের মোকাবিলা করতে হবে৷ সংসদে জোরালো সওয়াল জবাব স্রেফ দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য