1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ব্লগারদের প্রতিক্রিয়া

১৪ ডিসেম্বর ২০১১

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা মূলধারার গণমাধ্যম ছাড়িয়ে চলে গেছে ব্লগেও৷ বাংলা ব্লগাররা এই বিষয়ে অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন৷ অনেকে আবার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ব্লগে তুলে দিয়েছেন আলোচনার খাতিরে৷

https://p.dw.com/p/13SZg
...‘আমার ব্লগ’ছবি: http://www.amarblog.com/

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ঘিরে নানাবিধ আলোচনায় সয়লাব বাংলা ব্লগ৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে ব্লগার ‘দেশপ্রেমিক রাতুল' লেখেছেন, ‘‘আজকের দিনটি আমাদের জন্য কষ্টের দিন৷ এই দিনেই আমরা হারিয়েছি আমাদের বীর বুদ্ধিজীবী সন্তানদের৷ তাই আমরা শোকাহত৷ শ্রদ্ধাভারে স্মরণ করি তোমাদের৷ আর ঘৃণা করি সংকীর্ণ মনা, নৃশংস,বর্বর পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকারদের''৷

একই ওয়েবসাইটে ব্লগার নাঈমের নিবন্ধের শিরোনাম, ‘‘ফিরে এল জাতির সবচেয়ে কলঙ্কময় সেই দিন''৷ বুদ্ধিজীবী হত্যার ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখেছেন এই ব্লগার৷ বুধবার নাঈম লিখেছেন, ‘‘একটা নতুন দেশকে গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বুদ্ধিজীবী তথা দেশটির অগ্রগণ্য জ্ঞানী ব্যক্তিদের পরামর্শ৷ যাঁদের বুদ্ধি, পরামর্শ দেশটিকে গড়ে উঠতে সাহায্য করে৷ ৭১ এর ১৪ই ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় দিনটির কারণে দেশ হারিয়েছে তার সমস্ত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের, যার পরিণতি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের ধুঁকধুঁকে অবস্থা দেখে''৷

আমারব্লগ ডট কম'এ ব্লগার ঋদ্ধ'র একটি নিবন্ধের শিরোনাম ‘‘এই লোকটা ‘খালেক মজুমদার', শহীদুল্লাহ্‌ কায়সারের হত্যাকারী''৷ ঋদ্ধ তার নিবন্ধে পান্না কায়সার রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ : আগে ও পরে' থেকে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর ঘটনাবলি তুলে ধরেছেন৷ পান্না কায়সার সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন, ‘‘আমার নাম শহীদুল্লাহ্‌ কায়সার'৷ ওর গলা দিয়ে যেন তখন আগুন ঝরছিল৷ শহীদুল্লাহ্‌ ওর নাম বলার সঙ্গে সঙ্গেই কুকুরগুলো ওর হাতটা ধরে টান দিয়ে বললো; ‘চলুন আমাদের সঙ্গে'৷ শুনেই আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম''৷ নিবন্ধের শেষে ঋদ্ধ যোগ করেছেন খালেক মজুমদার'এর ছবি৷ যাকে পান্না কায়সার শহীদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন৷

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগে নাজনীন খলিল লিখেছেন, ‘‘১৪ই ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্য বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল৷ ঘাতক-দালাল চক্র এই পৈশাচিক-নির্মম নিধন যজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়৷ ১৬ই ডিসেম্বর পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরে আত্মীয়-স্বজনেরা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তাঁদের লাশ খুঁজে পায়৷ ঘাতকবাহিনী আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল''৷

গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান