1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিলারি অসুস্থ

১ জানুয়ারি ২০১৩

অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাবছিলেন তাঁকে৷ তবে হিলারি ক্লিন্টন বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা তিনি ভাবছেন না৷ তারপরও যেটুকু আশা ছিল তাতে কিছুটা হলেও বালি দিল অসু্স্থতা৷

https://p.dw.com/p/17Bwu
ছবি: dapd

গত ৭ই ডিসেম্বর থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের দেখাই মিলছিল না৷ কারণটা তখনও অজানা৷ তাই কথা হচ্ছিল নানা রকমের৷ অবশেষে গত রবিবার জানা গেল যে তিনি অসুস্থ৷ ইউরোপ সফরে এসে দেশে ফিরেছিলেন পাকস্থলীতে ভাইরাস নিয়ে৷ সেই ভাইরাসের কারণেই রোগযন্ত্রণার শুরু৷ প্রথমে পেটের পীড়া, সেখান থেকে শরীরে মারাত্মক পানিস্বল্পতা৷ পরিণামে একটা সময় এত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি যে, একবার নাকি পড়েও গিয়েছিলেন৷ আকস্মিক ওই পতন থেকেই মাথায় আঘাত৷ বেশ কিছুক্ষণ নাকি অজ্ঞানও ছিলেন৷ জ্ঞান ফিরেছে, কিন্তু চিকিৎসকদের চিন্তা যায়নি৷ মাথায় জমাট বাধা রক্ত দেখে বড় কিছুরই আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা৷ তবে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাঁফ ছেড়েছেন চিকিৎসকরা, জানিয়েছেন, হঠাৎ পড়ে গেলেও স্ট্রোক করেনি, স্নায়ুতন্ত্রের বড় কোনো ক্ষতি হয়নি৷ আর মাথার খুলির নীচে যে রক্ত জমাট বেঁধেছে, তা অচিরেই দূর করা যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ‘ফার্স্ট লেডি' আবারও সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবেন কাজে৷

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য এটা বড় সুসংবাদ৷ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্যও খবরটা নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক৷ হিলারি ক্লিন্টনের দলের অনেকেই কিন্তু তাঁকে দেশের ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখছিলেন৷ হিলারি অবশ্য ক'দিন আগেও বলেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার কথা তিনি ভাবছেন না৷ সিনেট জন কেরিকে তাঁর জায়গায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেই সরে যাবেন – এ কথাও জানিয়েছিলেন বিল ক্লিন্টনের স্ত্রী৷ আপাতত না হয় সরে গেলেন, তাতে কী! সময় তো অনেক আছে হাতে৷ ২০০৮ সালে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারাক ওবামার কাছে হেরে গেলেও তারপর থেকে প্রতিটি কাজে যেমন অনমনীয় দৃঢ়তা, অক্লান্ত পরিশ্রমের দৃষ্টান্ত রেখেছেন, তার কারণে পরের নির্বাচনে দল তাঁকে চাইতেই পারে৷

শঙ্কা শুধু শারীরিক অবস্থা নিয়ে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি বিমানভ্রমণ করেছেন ৯ লক্ষ ৫০ হাজার মাইল, ঘুরেছেন ১১২টি দেশে, মেয়াদকাল ৪০১ দিন, যার এক চতুর্থাংশই কেটেছে দেশের কাজে ভ্রমণ করে! আর এভাবে অবিরাম কাজ করে যাওয়াই সমস্যা ডেকে এনেছে হিলারি ক্লিন্টনের জীবনে৷

এতটা ধকল সয়েছে ৬৫ বছরের যে শরীরটি, তিন বছর পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার ধকলও সে সইতে পারবে কিনা – সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য