1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লুটন ‘‘সন্ত্রাসীদের আড্ডা’’ খ্যাতি চায় না

১ আগস্ট ২০১১

লন্ডনের উত্তরে লুটন শহর৷ সেখানে ইসলামপন্থিদের নাকি একটি বিরাট চক্র আছে৷ বাসিন্দারা কিন্তু আদৌ তা মনে করেন না৷

https://p.dw.com/p/127Ft
Nur für das Projekt 9/11: Spurensuche UK

লুটনের একটি শান্তশিষ্ট আবাসিক এলাকায় একটি ছিমছাম বাড়ি৷ গতবছর সেখানেই সাংবাদিক-ক্যামেরাম্যানদের ভিড়৷ এই বাড়িতেই নাকি তৈমুর আবদুলওয়াহাব আল আবদালি থাকতো৷ সন্তানের জনক এবং পরিবারের পিতা, সে রাতারাতি স্যুটকেস প্যাক করে সুইডেন পাড়ি দেয়, ক্রিসমাসের আগে আলোকসজ্জায় সজ্জিত রাজধানী স্টকহোল্মের কেন্দ্রে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়৷ আত্মঘাতী বোমারু হবার আগে আবদালি একটি টেপে তার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছিল: যতো বেশি সম্ভব সাধারণ সুইডিশ নাগরিকদের জান নেওয়া৷ সুইডেন যে আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠিয়েছে, এ'টা হবে তারই প্রতিশোধ৷

9/11 Luton homegrown terror. Copyright: Lars Bevanger, DW freier Mitarbeiter, Luton 30.05.2011 Islamic Centre's chairman, Abdul Qadeer Baksh confronted al-Abdaly's extremist views.
আবদুল আকদির বকশছবি: DW/L.Bevanger

লুটনে থাকার সময় আবদালি শহরের একটি ইসলামি কেন্দ্রে নমাজ পড়তে যেতেন৷ সেখানেও লোকজন তার চরমপন্থি মনোভাব সম্পর্কে সচেতন ছিল৷ ইসলাম ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করার জন্য কেন্দ্রের প্রধান আবদুল আকদির বকশ স্বয়ং তাকে সাবধান করে দিয়েছেন৷ কিন্তু তা'তে কোনো লাভ হয়নি৷ আবদালি রেগেমেগে মসজিদ ছেড়ে বেরিয়ে গেছে এবং আর কখনো ফেরেনি৷

ইসলামপন্থিদের ব্যাপারে লুটনের নাম কোনোদিনই ভালো ছিল না৷ ২০০৯ সালে একদল ব্রিটিশ সৈন্য ইরাকে কাজ শেষ করার পর দেশে, অর্থাৎ লুটনে ফিরছিল৷ তাদের স্বাগত জানানোর সময় একদল তরুণ মুসলিম তাদের ‘‘হত্যাকারী'' আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করে৷ তার ফলে লুটন উগ্র-দক্ষিণপন্থি, ইসলাম বিরোধী ইংলিশ ডিফেন্স লিগ বা ইডিএল'এর ঘাঁটি হয়ে ওঠে৷ ভারসাম্য রাখার জন্য ‘কাউন্সিল অফ ফেইথস' বা ‘বিভিন্ন ধর্মের পরিষদ' সক্রিয় হয়৷ পরিষদের মতে লুটনের নাম যতোটা খারাপ, তার বাস্তব পরিস্থিতি ত'তোটা খারাপ নয়৷

9/11 Luton homegrown terror. Copyright: Lars Bevanger, DW freier Mitarbeiter, Luton 30.05.2011 family man Taimour Abdulwahab al-Abdaly packed his bag and left for Sweden, where he blew himself up near Christmas shoppers in central Stockholm.
ছবি: DW/L.Bevanger

লুটনের প্রায় ত্রিশ হাজার মুসলিমদের একটা বড় অংশ থাকেন বেরি পার্ক এলাকায়৷ বাসিন্দাদের অধিকাংশের বক্তব্য, গণমাধ্যমে লুটনকে যেভাবে দেখানো হয়, তার সঙ্গে তাদের চেনা লুটনের কোনো সম্পর্ক নেই৷ ‘‘টেলিভিশন দেখে লোকে ইসলাম সম্পর্কে ধারণা করে,'' বলেন তারা৷ অথচ ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের খবর, লুটনে ইসলামপন্থিদের একটা বড় চক্র আছে৷ তার মূল কারণ হল এখান থেকে সহজেই লন্ডন পৌঁছনো যায়৷

আসল কথা হল, যতোদিন ব্রিটেনে সন্ত্রাসী আক্রমণের ভয় থাকবে, ততোদিন লুটনকেও গণমাধ্যমে এই খ্যাতি বা অখ্যাতির বোঝা বইতে হবে৷ লুটনবাসীদের সেটা সহ্য করে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই৷

প্রতিবেদন: লার্স বেভাঙ্গার/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ