1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবীয়, মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে গোপন বৈঠক

১৯ জুলাই ২০১১

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ’ শুধু একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার জন্য যে, গাদ্দাফি বিদায় না নিলে কোনো প্রগতি হওয়া সম্ভব নয়৷ ত্রিপোলির বক্তব্য, আলাপ-আলোচনা চাই, কিন্তু পূর্বশর্ত আরোপ করলে চলবে না৷

https://p.dw.com/p/11zac
নেপথ্যে কূটনীতি৷ছবি: DW

ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়৷ গাদ্দাফি তরফ অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে ফরাসি, মার্কিন, ব্রিটিশ, এই তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার৷ লিবীয় কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই টিউনিশিয়ার জেরবায় ফরাসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন৷ ফরাসি তরফ স্পষ্ট জানিয়েছে, গাদ্দাফিকে দেশ ছাড়তে হবে, নির্বাসনে যেতে হবে৷

তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল এই সপ্তাহান্তে আবার ঐ টিউনিশিয়ায়, এবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে৷ মার্কিন তরফের বক্তব্য, এটা কোনো আলাপ-আলোচনা নয়৷ গাদ্দাফি তরফ বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে৷ এবং এই সুযোগে তাদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, গাদ্দাফি বিদায় না নিলে আপোষ কিংবা শান্তির পথে এক পা এগনো সম্ভব নয়৷

এর মধ্যে কতোটা কূটনীতির আগুপিছু, ধরি মাছ না ছুঁই পানি, তা ঐতিহাসিকরা দূর ভবিষ্যতে নিশ্চিত করবেন৷ আপাতত এটুকু বলা যেতে পারে যে, গাদ্দাফি যে মরিয়া না মরে রাম এ কেমন বৈরী হয়ে বসে আছেন, আর বিদ্রোহীরা আকাশ থেকে মিত্রশক্তিদের বিমান হানা সত্ত্বেও বিশেষ এগোতে পারছে না, মাটিতে কি ব্রেগা, কি ত্রিপোলির দিকে এগনো নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে - এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমা শক্তিদেরও কোনো ত্বরা সমাধানে আপত্তি নেই৷

Libyen / Panzer / Kämpfe
অন্যদিকে যুদ্ধ চলেছে৷ছবি: AP

এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে, গাদ্দাফি গেলেই পশ্চিমের মুখ বাঁচে৷ আবার গাদ্দাফিরও সম্ভবত যেতে আপত্তি নেই, যদি তাঁর মুখরক্ষা হয়৷ কাজেই কারোর সঙ্গে যদি কথা বলা প্রয়োজন হয়ে থাকে, তবে তিনি হলেন মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি৷ সেই গাদ্দাফিই যদি আগবাড়িয়ে তাঁর প্রতিনিধি পাঠান, তবে ওয়াশিংটনই বা সেই অফারটা একবার বাজিয়ে দেখবে না কেন?

ওদিকে গাদ্দাফিও বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঘোলাজলে চরে বেড়াচ্ছেন৷ তিনিও ল্যাজে খেলাতে জানেন৷ তাই আগামীকাল, মানে এই বুধবার তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাচ্ছেন মস্কোয় - সেও আবার বিদ্রোহ শুরু হওয়া যাবৎ এই প্রথমবার৷ মস্কো যাত্রার খবরটা দিয়েছে রুশ ইতার-তাস সংবাদ সংস্থা৷ এবং সাক্ষাতের অনুরোধটা নাকি এবারেও গাদ্দাফি তরফের৷

মজার কথা হল, রাশিয়াও উভয়সংকটে পড়ে গাদ্দাফিকে পাত্তাড়ি গোটাতে বলেছে, অপরদিকে পশ্চিমা শক্তিরা সাততাড়াতাড়ি বিদ্রোহীদের নেতৃত্বকে লিবিয়ার বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় মস্কোর আপত্তি৷ আসল কথা, লিবিয়ার তেল সম্পদ থেকে শুরু করে তার ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত বিচারে এ্যাতোই গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে যে, সকলকেই শেষমেষ নিজের আখেরটাও দেখতে হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক