1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শরণার্থী

১৬ জুন ২০১২

রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের কথা বলা উচিত, এমনটি মনে করছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, মানবিক কারণে হলেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত৷

https://p.dw.com/p/15GX3
FILE - In this Friday, Jan. 30, 2009 file photo, Rohingya refugees sit in their encampment at a military base on Sabang, off the Coast of Banda Aceh, Indonesia. Indonesia will send more than 100 Rohingya boat people who washed up on the country's west coast earlier this year to Bangladesh, a government official said Tuesday, May 26, 2009. (AP Photo/Binsar Bakkara, File)
Rohingya Flüchtlingeছবি: AP

পাশাপাশি এই ইস্যুতে জাতিসংঘেরও নিরপেক্ষা ভূমিকা আশা করছেন তাঁরা৷

এই নিয়ে স্বাধীনতার পর তৃতীয়বারের মত বড় আকারে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে৷ পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার এইসব রোহিঙ্গাকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না, যদিও কয়েক শত বছর ধরে তারা সেই অঞ্চলে বাস করে আসছে৷ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন মনে করছেন, মানবিক কারণে হলেও এইসব শরণার্থীদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া উচিত ছিলো৷ এরপর উচিত হতো মিয়ানমার সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা৷

A soldier patrols through a neighbourhood that was burnt during recent violence in Sittwe June 14, 2012. The violence had killed 21 people as of Monday, state media said, but activists fear the death toll could be much higher. At least 1,600 houses have been burnt down. The army has taken hundreds of Rohingyas to Muslim villages outside Sittwe to ensure their safety. Places that were flashpoints earlier in the week, including the state capital Sittwe, were quiet as violence started to subside after days of arson attacks and killing that have presented reformist President Thein Sein with one of his biggest challenges since taking office last year. REUTERS/Soe Zeya Tun (MYANMAR - Tags: POLITICS MILITARY CIVIL UNREST)
দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘরছবি: Reuters

একই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এলিনা খান৷ তিনি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ তাই তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত৷ এরপর জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া যেতো৷

তবে জাতিসংঘের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কেবল একতরফা আহ্বান লক্ষ্য করা গেছে৷ শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তারা আহ্বান জানালেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ নিয়ে জাতিসংঘের কোন কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে না৷ অধ্যাপক আকমল হোসেন মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মুরুব্বি সংগঠন হিসেব জাতিসংঘের ভূমিকা এই ক্ষেত্রে হতাশাজনক৷

এদিকে গত কয়েকদিনে মিয়ানমারে দাঙ্গায় অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের সরকারি সংবাদ মাধ্যম৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য