1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রুপালি পর্দায় দক্ষিণ কোরিয়ার অন্ধকার জগত

১৩ জুন ২০১২

স্যামসাং বা হুন্ডাই'এর মতো কোম্পানির নাম কে না জানে! দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে এই সব বহুজাতিক পারিবারিক কোম্পানির কালো দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ‘দ্য টেস্ট অফ মানি' নামের চলচ্চিত্রে৷

https://p.dw.com/p/15DAb
ছবি: DW

সংবাদ শিরোনামে উত্তর কোরিয়াই প্রাধান্য পেয়ে থাকে৷ গোপনীয়তার বেড়াজালে ঢাকা কট্টর কমিউনিস্ট শাসনযন্ত্রে একমাত্র ‘এলিট' শ্রেণিই কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক দক্ষিণ কোরিয়াও পিছিয়ে নেই৷ সেখানেও এমন ‘এলিট' শ্রেণি রয়েছে, যাদের হাতে রয়েছে ক্ষমতার আসল রাশ৷ সেখানেও পরিবারতন্ত্রের রমরমা, তবে রাজনৈতিক স্তরে নয়৷ পারিবারিক ‘কনগ্লোমারেট' বা বিশাল আকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোরিয়ায় ‘চেবল' বলা হয়৷ এদের মধ্যে স্যামসাং বা হুন্ডাই'এর মতো কোম্পানির নাম তো গোটা বিশ্বে পরিচিত৷ দেশে-বিদেশে এদের প্রভাব-প্রতিপত্তির মাত্রা আন্দাজ করা কঠিন৷

দক্ষিণ কোরিয়ার এই ‘চেবল' জগতকে রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘দ্য টেস্ট অফ মানি' নামের চলচ্চিত্রে৷ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি দেখানোর পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে নতুন করে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে৷ পরিচালক ইম সাং সো যেভাবে সমাজে ধন-দৌলত, অর্থবল ও দুর্নীতির নগ্ন রূপ তুলে ধরেছেন, তার ফলে ডিসেম্বর মাসে পরিকল্পিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷

Hyundai Sonata
ছবি: picture-alliance/dpa

ছবিতে বেশ কিছু চমকপ্রদ দৃশ্য রয়েছে৷ যেমন এক শক্তিশালী কোম্পানির চেয়ারম্যান পারিবারিক ব্যাংক ভল্ট'এর ইস্পাতের দরজা খুলে দিচ্ছেন৷ ভিতরে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক নোটের স্তূপ৷ এমন দৃশ্য দেখে সেক্রেটারির চক্ষু চড়কগাছ৷ সেই ছবির মূল চরিত্র৷ তার দৃষ্টিকোণ থেকেই ‘চেবল' জগতের অন্ধকার দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ ১৭ই মে মুক্তি পাবার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৫ কোটি দর্শক ছবিটি দেখেছেন৷

এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ছবি তৈরি করা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে পরিচালক ইম সাং সো'র মনে সন্দেহ ছিল৷ এমনকি এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রথমে ছবির জন্য টাকা ঢালার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে পিছিয়ে আসে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন (রয়টার্স)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ