1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাজনীতি বিতাড়নের ভোট!

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ এপ্রিল ২০১৪

উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের দুই যুগেরও বেশি সময়ের অর্জন প্রশ্নের মুখে পড়েছে৷ এটা যেন রাজনীতি বিতাড়নের ভোট৷

https://p.dw.com/p/1BZFz
Bangladesch Stimmenauszählung 05.01.2014
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ বা জানিপপ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আগের চার দফা নির্বাচনের শেষের দুটি দফায় সহিংসতা, কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটলেও সোমবারের পঞ্চম দফায় আরো নতুন কিছু মাত্র যোগ হয়েছে৷''

তিনি নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জানান, ‘‘এবার কোথাও কোথাও আগেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে৷ আবার কেন্দ্রে ঢুকে ভোটার অমোচনীয় কালি লাগানোর পর, তাঁকে আর ভোট দিতে দেয়া হয়নি৷ তাঁর ভোট দিয়েছেন অন্য কেউ৷ ভোটারদের ভোটদানে নিরুত্‍সাহিত করা হয়েছে৷ কিন্তু ভোটের বাক্সে ভোট ঠিকই পড়েছে৷ আবার এজন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘প্রকাশ্য সহিংসতার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ‘নীরব সন্ত্রাস'৷''

Bangladesch Hindus Überfall Jessore
সংখ্যালঘু নির্যাতনের খণ্ডচিত্র...ছবি: DW

শুধু তাই নয়, ভোটাদের না আসতে দিয়ে ভোটের বাক্স ভরার এই প্রক্রিয়াকে নির্বাচন ব্যবস্থার ভয়াবহ ক্ষতি বলে মনে করেন তিনি৷ এটা ভোট বিমুখতা তৈরি করে৷ এছাড়া এর দায় নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলসহ সবাইকে নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷ তাঁর মতে, ভোট দানে ভোটারদের নিরুত্‍সাহিত করার এই পদ্ধতি গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিদায় দেয়ার একটা প্রক্রিয়া৷

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সামরিক শাসকদের আমরা আগে এই ধরণের নির্বাচনের জন্য দায়ী করতাম৷ তবে ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বাকি নির্বাচন ব্যবস্থায় একটা গ্রহণযোগ্যতা ফিরে এসেছিল৷ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল রেকর্ড পরিমাণ৷ কিন্তু সেই নির্বাচন আবার দূরে সরে যেতে শুরু করেছে৷ নির্বাচন হয়ে উঠছে একক কোনো দলের জন্য৷'' তিনি বলেন, ‘‘এর মধ্য দিয়ে বিরাজনীতিকরণের একটি নতুন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ শুরু হয়েছে রাজনীতি বিতাড়নের কৌশল৷ ভোট আর রাজনীতি সবার না হয়ে একদলের হয়ে যাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না৷''

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘‘উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার যে রূপ নতুন করে প্রকাশ পেল তাতে মনে হয় যে, নির্বাচন কমিশনের হাতে তেমন কিছুই নেই৷ আর আজ্ঞাবহ সংস্কৃতির কারণে নির্বাচন কমিশনও তেমন কোনো কথা বলছে না৷ তারা একেই ‘মোটামুটি শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন বলছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথ আপাতত দেখা যাচ্ছে না৷ তবে যদি সবাই গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কথা ভাবেন, তাহলে হয়ত পরিস্থিতির উত্তরণ হতে পারে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য