ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’
১১ অক্টোবর ২০১১জেমস বলেন, এমন একজন ব্যক্তি এই ইঙ্গিত দিচ্ছেন, যাঁর নিজের অবস্থানই সন্দেহজনক৷ রুপার্ট মার্ডকের সদ্যবিলুপ্ত সাপ্তাহিক ‘নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড'-এর অনুসন্ধানী সম্পাদক মাজহার মাহমুদ লন্ডনের একটি আদালতে কিছু তথ্যপ্রমাণ হাজির করেন, যেখানে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের নামও জড়িয়ে আছে৷ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট এবং ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আসিফ-এর বিরুদ্ধে আনা ম্যাচপাতানোর অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন সাংবাদিক মাজহার মাহমুদ৷
ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত এজেন্ট মাজহার মাজেদ-এর কিছু বক্তব্য গোপনে রেকর্ড করেছিলেন মাহমুদ৷ এতে এজেন্ট মাজহার অস্ট্রেলীয় কয়েক খেলোয়াড়সহ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বড়মাপের খেলোয়াড়দের কথা বলেন, যাঁরা ম্যাচ পাতানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন৷ সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে এই রেকর্ডিং বাজানো হয়৷ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট প্রধান অবশ্য জানান যে, মাজেদ-এর সততা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে৷
একটি গাড়ির মধ্যে গোপনে মাজেদ-এর কথোপকথন ভিডিও করেন সাংবাদিক মাজহার৷ সেসময় একটি ম্যাচে নির্দিষ্ট দু'টি নো-বল করানোর প্রতিশ্রুতি দেন মাজেদ আর প্রতিটি নো-বলের জন্য ১০,০০০ পাউন্ড খরচ হবে বলেও জানান তিনি৷ মাজেদ বলেন, ভবিষ্যতে এভাবে ম্যাচ পাতাতে চাইলে জামানত হিসেবে দেড় লাখ পাউন্ড দিতে হবে৷
গত বছরের ১৮ আগস্ট পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের প্রথমদিনে ঐ ভিডিওটি হাতে আসে সাংবাদিক মাজহার-এর৷ তিনি অবশ্য মাজেদ-এর সঙ্গে একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেন৷ ম্যাচপাতানোর বিষয়ে মাজহার-এর সেই প্রতিবেদন সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে৷
আদালতে অভিযোক্তারা অভিযোগ করেন, বাট এবং আসিফ ম্যাচ পাতানোর অংশ হিসেবে নো-বল করেছিলেন৷ তবে, বাট এবং আসিফ ম্যাচপাতানোর অংশ হিসেবে নো-বল করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন৷
মাজেদ সেসময় আরো জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা খেলার নির্দিষ্ট কিছু অংশে ম্যাচ পাতাতে প্রস্তুত৷ প্রতিটি অংশের জন্য পঞ্চাশ হাজার থেকে আশি হাজার পাউন্ড খরচ হবে৷ এছাড়া টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফলাফল পাতাতে চার লাখ পাউন্ড এবং টেস্ট ম্যাচের ক্ষেত্রে অবস্থা অনুযায়ী দশ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলেও দাবি করেন মাজেদ৷
এসব বক্তব্যের পরও অবশ্য অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট প্রধানের মন্তব্য, তাঁর খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কুৎসা রটানো হয়েছে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ