1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার

২৫ এপ্রিল ২০১২

দীর্ঘ বিশ বছরেরও বেশি সময় পর মিয়ানমারে আবারও ফিরছে গণতন্ত্রের পরিবেশ৷ সে দেশের সরকার আগ্রহী হয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচনে৷ ফলে আন্তর্জাতিক মহলও মিয়ানমারের মাঝে দেখছে অপার সম্ভাবনা৷

https://p.dw.com/p/14kjJ
ছবি: picture alliance/dpa

দারিদ্র্য পীড়িত মিয়ানমারের রয়েছে অসীম সম্ভাবনা৷ এমনকি শক্তির বিচারে ‘এশিয়ার বাঘ' বা ‘এশিয়ান টাইগার' হওয়াও দেশটির জন্য সম্ভব বলে মনে করেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নাম্বিয়ার৷

মিয়ানমারে যদি অর্থনৈতিক বিধি-নিষেধ আরেকটু সহজ করা যায়, যদি বিনিয়োগকে আরো উৎসাহিত করা হয় এবং যদি দেশের উন্নয়নের জন্য পাওয়া যায় প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ, তাহলে সকল সমস্যা কাটিয়ে মিয়ানমার জেগে উঠবে বলেই মনে করেন নাম্বিয়ার৷

এ সপ্তাহের শেষের দিকেই জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন এর মিয়ানমার সফরের কথা রয়েছে৷ সেই সফরকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নাম্বিয়ার৷ সে সময়ই মিয়ানমারের অসীম সম্ভাবনার কথা সাংবাদিকদের জানান তিনি৷

বর্তমানে মায়ানমারের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে৷ সামরিক জান্তার শাসনে নুয়ে পড়া দেশটিতে আবারও গণতন্ত্র ফিরছে বলেও মনে করেন নাম্বিয়ার৷

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তেইন সেইন এর নেতৃত্বে গত প্রায় এক বছর ধরে সে দেশে চলছে রাজনীতিক সংস্কার৷ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়া সহ চলছে আরো বিভিন্ন কার্যক্রম৷ দেশে তৈরি হয়েছে নির্বাচনের পরিস্থিতি৷ আর তারই পথ ধরে গত ১লা এপ্রিলের নির্বাচনে অং সাং সু চি'র দল পেয়েছে বিরাট সাফল্য৷ দীর্ঘদিন কারাবন্দির পর সু চি এই নির্বাচনের পরই এবার ফিরছেন সংসদে৷

তাঁর ভাষায়, ‘‘দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় পর দেশটিতে আবার ফিরেছে সংবিধান, নির্বাচন এবং সংসদ৷'' তাই, মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন নাম্বিয়ার৷

১৯৯০ সালে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর, অ্যামেরিকা ও ইউরোপ বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির ওপর৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক বছরের জন্য সেদেশের উপর থেকে অস্ত্র বিক্রি ছাড়া অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এখন রয়েছেন দক্ষিণ এশিয়া সফরে৷ আগামী সপ্তাহে তিনি যাবেন মিয়ানমার৷ সেখানে অং সান সু চি এবং দেশের প্রেসিডেন্ট এর সাথে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে৷

মিয়ানমারের দীর্ঘ দিনের শুভার্থী দেশ জার্মানি৷ সামরিক সরকারের ক্ষমতা দখলের পর সারা দুনিয়া যখন মিয়ানমারকে অসহযোগিতা করছিলে তখনো জার্মানি এই দেশটিকে উন্নয়ন সাহায্য দিয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা, (এপি, ডিপিএ)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য