1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিম ব্রাদারহুড

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

দেশের ভেতর আরেক দেশ৷ সরকারের পাশাপাশি আরেক শাসন ব্যবস্থা৷ লেবানন ও ইরাকে এমন পরিস্থিতির কথা জানা গেলেও এবার মিশরেও তৈরি হয়েছে সেই অবস্থা৷

https://p.dw.com/p/17ixB
ছবি: picture-alliance/Photoshot

মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি বা এফজেপি'র সদস্য৷ এই এফজেপি আসলে মুসলিম ব্রাদারহুডের পোশাকি নাম৷ ৮৫ বছর আগে গঠিত হওয়া মুসলিম ব্রাদারহুড বেশিরভাগ সময়ই আত্মগোপনে থেকে কাজ চালিয়ে গেছে৷ বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সময় দলটি বেশ চাপে ছিল৷ তাদের অনেক নেতাকে কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয়েছে৷

২০১১ সালে আরব বসন্তের হাওয়ায় মুবারক সরকারের পতনের পর মুসলিম ব্রাদারহুড জনসম্মুখে আসে৷ তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সময় তারা এফজেপি নামে অংশ নেয়৷

পরবর্তীতে সংসদ সহ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল জয় পায় এফজেপি তথা মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিদ্বন্দ্বীরা৷

এখন মিশরের ক্ষমতায় বলতে গেলে এই ব্রাদারহুডই৷ কিন্তু তারপরও এখনও দলটি গোপনভাবে কিছু কাজ করে যাচ্ছে৷ যেমন গোয়েন্দাগিরি৷ যদিও এই বক্তব্যের সপক্ষে জোরালো কোনো প্রমাণ নেই, তবুও কয়েকটি ঘটনা ব্রাদারহুডের গোপন উপস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে৷ যেমন প্রেসিডেন্ট মুরসি একসময় বলেছিলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে কে কোথায় বৈঠক করছে সে খবর তাঁর কাছে রয়েছে৷

Proteste in Ägypten
ক্ষমতায় পরিবর্তন এলেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা মিশরেছবি: picture-alliance/Landov

আবার আরেকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, ব্রাদারহুডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা খাইরাত এল-শাতের বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য করতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ও সামরিক কাউন্সিলের কর্মকর্তারা টেলিফোনে যে ফন্দি এঁটেছিলেন তার রেকর্ডিং তাঁর কাছে রয়েছে৷অর্থাৎ সরকারিভাবে গোয়েন্দা সংস্থা থাকলেও ব্রাদারহুড আলাদাভাবে নিজেদের গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এমনকি দেশের পররাষ্ট্রনীতি কী হবে সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চেয়ে প্রেসিডেন্ট মুরসি ব্রাদারহুড দলের পরামর্শকদের কথা বেশি শোনেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে৷

কিন্তু কথা হচ্ছে কেন ব্রাদারহুড এমন করছে? বিশ্লেষকদের ধারণা, ব্রাদারহুড মনে করছে তারা ক্ষমতায় থাকলেও সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিচার বিভাগে এখনও মুবারক আমলের কর্মকর্তারা রয়েছেন৷ ব্রাদারহুড দলের ওয়েবসাইটের এক সময়কার সম্পাদক আবদেল জলিল আল শারনোবি, যিনি পরবর্তীতে দল ছেড়ে দিয়েছেন, তিনি বলছেন ব্রাদারহুড সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছেনা৷

ব্রাদারহুডের আরেক সাবেক কর্মী মোহাম্মদ আল গেব্বাহ বলছেন, এই গোষ্ঠীর ছয়টি ছোট ছোট গোয়েন্দা কেন্দ্র রয়েছে৷ তবে গেব্বাহ তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে আর কিছু জানান নি৷ব্রাদারহুড মুখপাত্র মুরাদ আলি অবশ্য গেব্বাহর এই বক্তব্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন৷

গোয়েন্দা তৎপরতার বাইরেও ব্রাদারহুড তাদের আলাদা একটি কর্মী বাহিনী সক্রিয় রেখেছে যারা সেনাবাহিনীর বাইরেও সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছে৷ যেমন গত ডিসেম্বরে যখন মুরসির বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভ হচ্ছিল তখন ব্রাদারহুডের কর্মীরা প্রথমে ফেসবুকে সতর্কবাণী দিয়ে পরে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা করে৷ এ সময় তারা কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই নির্যাতন করে৷ সেসময় নিরাপত্তা কর্মীরা কাছে দাঁড়িয়ে সবকিছু দেখছিল বলে পরে জানিয়েছেন নির্যাতিতরা৷

এই ঘটনায় বোঝা যায় যে, ক্ষমতায় থাকলেও ব্রাদারহুড গোপনে তাদের সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছে৷

জেডএইচ / এসবি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান