মালিতে ফরাসি সামরিক হস্তক্ষেপ
১২ জানুয়ারি ২০১৩মালিতে সামরিক হস্তক্ষেপের নির্দেশটা আসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ'এর কাছ থেকে৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জঁ-ইভ ল্য দ্রিয়্যাঁ বলেছেন, আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত উগ্র ইসলামপন্থিরা তাদের অধিকৃত এলাকার বাইরে অভিযান শুরু করার ফলে ফ্রান্স দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়, যা'তে ‘‘ফ্রান্স এবং ইউরোপের দোরগোড়ায় একটি সন্ত্রাসবাদি রাষ্ট্র'' গড়ে না ওঠে৷
কাজেই শনিবারেও ফরাসি সেনাবাহিনী মালির উগ্র ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের উপর বিমান হানা অব্যাহত রেখেছে৷ রাজধানী বামাকোর সুরক্ষার জন্য ফরাসি সৈন্যরা অবস্থান নিয়েছে৷ ল্য দ্রিয়্যাঁ'র বিবৃতি অনুযায়ি বিদ্রোহীরা মোপ্তি শহরটির দিকে যাবার চেষ্টা করছিল৷ তাদের রোখার প্রচেষ্টায় যে অভিযান চালানো হয়, তা'তে একজন ফরাসি হেলিকপ্টার পাইলট প্রাণ হারায়৷ তবে হেলিকপ্টারটি বিদ্রোহীদের গুলিতে ভূপাতিত হয়েছে কিনা, ল্য দ্রিয়্যাঁ তা জানাননি৷
বস্তুত মালি সরকারের সৈন্যরাই দেশের মধ্যভাগে কোনা শহরটি ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের হাত থেকে উদ্ধার করে, এবং তা ঘটে ফরাসি সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে৷ ফরাসি বিমানের সাহায্য পায় তারা৷ মালির সৈন্যরা আক্রমণ করার আগে ফরাসি বিমান শহরটির উপর হানা চালায়৷ বিদ্রোহীরা তাদের দক্ষিণমুখী অভিযান শুরু করার পর কোনা শহরটি দখল করে গত বৃহস্পতিবার৷
মালিতে প্রায় ছ'হাজার ফরাসি নাগরিকের বাস৷ তাদের মধ্যে বেশ কিছুজন ফ্রান্সে ফিরতে শুরু করেছেন৷ মালির বিদ্রোহীদের হাতে এখনও সাতজন ফরাসি নাগরিক পণবন্দি হয়ে আছেন বলে প্রকাশ৷ ফ্রান্সের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, তারা গুপ্তচর বিভাগ এবং সরবরাহ সংক্রান্ত সাহায্য দিতে পারে৷ ওদিকে পশ্চিম আফ্রিকার একোওয়াস আঞ্চলিক জোট জানিয়েছে, তারা আগামী সোমবার থেকে মালিতে সৈন্য পাঠাতে শুরু করবে৷
এছাড়া যে ফরাসি গুপ্তচর বিভাগের কর্মী ২০০৯ সাল যাবৎ সোমালিয়ায় পণবন্দি হিসেবে আল-শাবাব গোষ্ঠীর হাতে ছিলেন, তাঁকে মুক্ত করার একটি প্রচেষ্টায় পণবন্দি স্বয়ং নিহত হয়েছেন৷ তাঁর সোমালি অপহরণকারিরা তাঁকে হত্যা করে বলে প্রকাশ৷ ফরাসি সামরিক বাহিনীর ঐ কমান্ডো অভিযানে প্রায় ৩০ জন সোমালি এবং সেই সঙ্গে একজন ফরাসি সৈন্য নিহত হয়েছেন৷ তবে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ল্য দ্রিয়্যাঁ বলেছেন, সোমালিয়ায় পণবন্দিকে মুক্ত করার প্রচেষ্টার সঙ্গে মালি'তে সামরিক হস্তক্ষেপের কোনো সম্পর্ক নেই৷
এসি / এআই (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)