1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন অর্থনীতি

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১২ নভেম্বর ২০১২

প্রেসিডেন্ট ওবামা পুনর্নির্বাচিত হবার পরেই যুক্তরাষ্ট্র যে ‘ফিস্কাল ক্লিফ’-এর মুখোমুখি হতে চলেছে, তা এড়াতে না পারলে দেশ নানা করবৃদ্ধি ও বাজেট হ্রাসের সম্মুখীন হবে৷

https://p.dw.com/p/16guG
ছবি: privat

ওয়াল স্ট্রিটের সঙ্গে গত ত্রিশ বছর ধরে যুক্ত শ্যামল সেন’ও বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন৷

গত গ্রীষ্মে মার্কিন সরকার যখন রিপাবলিকানদের সাহায্য নিয়ে বাজেট ঘাটতির সর্বোচ্চ মাত্রা বাড়ান - নয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হতে চলেছিল! - তখন ওবামা ও তাঁর ডেমক্র্যাটদের তার দাম দিতে হয় একটি ‘‘বাজেট কন্ট্রোল অ্যাক্ট'' বা বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে৷ এই আইন অনুযায়ী দশ বছর ধরে প্রতিবছর ১০৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয়সংকোচ করা হবে, যদি না তার আগে কোনো উপযুক্ত আর্থিক পরিকল্পনা খাড়া করা সম্ভব হয়৷ নির্বাচনের তোড়ে রিপাবলিকান কি ডেমক্র্যাট, কোনো পক্ষই আপোশে রাজি না হওয়ায় এখন সেই শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর প্রায় ঘাড়ে এসে পড়েছে৷ জানুয়ারিতেই ব্যয়সংকোচ শুরু হবে, এবং মার্কিন প্রবৃদ্ধি আধ শতাংশে নেমে যাবে, বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

শ্যামল সেন প্রায় ত্রিশ বছর ধরে ওয়াল স্ট্রিটের সঙ্গে যুক্ত, তবে কম্পিউটার প্রযুক্তির দিক দিয়ে৷ বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের কম্পিউটার সায়েন্সেস কর্পোরেশনের চিফ টেকনোলজি অফিসার৷ তাঁকে ‘ফিস্কাল ক্লিফ' নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন:

BM/121112/Interview: Shyamal Sen, CTO of CSC NY on Obama - MP3-Mono

‘‘এখানে তো দু'দলই এতো পরস্পরের বিপরীত অবস্থানে আছে যে, গত কয়েক বছর ধরে সমস্যাটা সম্পর্কে কিছু করা হয়নি৷ আমরা এখন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছি যে, সমস্যাটার অবিলম্বে মোকাবিলা করা দরকার৷ নির্বাচনের ফলাফল দু'টি দলের মনোভাব নিশ্চয় কিছুটা প্রভাবিত করবে৷ এবং যে বাইপার্টিজান বা উভয়দলীয় মনোভাবটার এতোদিন অভাব ছিল, এখন আমরা একটা সর্বনাশের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছি৷ সুতরাং বাইপার্টিজান মনোভাবটা আগের থেকে বেশি প্রত্যাশা করা যাবে৷''

যেমন করবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা আপোশের প্রত্যাশা করছেন শ্যামল সেন৷ আবার মোটরগাড়ি শিল্পের বেলআউটের ক্ষেত্রে ওবামার সাফল্য রিপাবলিকানদের কাছ থেকে থেকে কিছুটা স্বীকৃতি পাবে, এ'আশাও আছে তাঁর৷

ওয়াল স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সাধারণত কিছুটা স্বল্পমেয়াদী মনোভাব প্রদর্শন করেন৷ শেয়ারবাজারের সূচক ওঠে-নামে সেদিনকার অবস্থা বুঝে৷ দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতার ক্ষেত্রে ওয়াল স্ট্রিট এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, বললেন শ্যামল সেন৷

রিপাবলিকান-ডেমক্র্যাট কাজিয়া বা বাজেট ঘাটতি বাদ দিলেও, মার্কিন অর্থনীতির কিছু বাস্তব সমস্যা আছে৷ যার মধ্যে প্রথম হল যুদ্ধের খরচ, বললেন শ্যামল সেন৷ দ্বিতীয়ত, ওবামার প্রথম কর্মকালে চাকুরি সৃষ্টির বিষয়টি কিছুটা অবহেলিত হয়েছে, বলে তিনি মনে করেন৷ ওবামা বিশেষ করে হেল্থ কেয়ার বা স্বাস্থ্যবিমার উপর জোর দিয়েছিলেন৷ সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে কয়েকটি বিশ্বব্যাপী প্রবণতা, যেমন ম্যানুফাকচারিং শিল্পে চাকুরি চীনে চলে যাওয়ার প্রবণতা৷

সব মিলিয়ে, ওবামার প্রথম কর্মকালে যা কিছু উপেক্ষিত হয়েছিল, এবার তার মোকাবিলা করতেই হবে, কেননা আমরা ‘‘সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি,'' বললেন নিউ ইয়র্কবাসী শ্যামল সেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য