1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত

২৬ জুলাই ২০১২

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত দল৷ তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/15evV
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সুরা সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে গত ২রা এপ্রিল ট্রাইবুন্যাল ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আদেশ দেন৷ কিন্তু তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে যান৷ এরপর তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের তদন্ত অব্যাহত থাকে৷ তদন্ত শেষে ট্রাইবুন্যালের তদন্ত কর্মকর্তা সানাউল হক বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তিনি একাত্তরে ফরিদপুরের হাসমিয়া গ্রামে ১৪ জনকে হত্যাসহ আরো অনেক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত৷ একই গ্রামে ৩ নারীকে ধর্ষণ, ৯ জনকে অপহরণ, ৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ১৫টি বাড়ির মালামাল লুট ও ৯ জনকে ধর্মান্তরিতসহ আরো অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িত মাওলানা আজাদ৷ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী একসঙ্গে এসব মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছেন৷ তাদের বাড়িও ফরিদপুরে৷ তদন্ত কর্মকর্তা সানাউল হক জানান মাওলানা আজাদ পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে৷

Politiker aus Bangladesch
জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বেশ চাপের মুখে রয়েছেনছবি: Harun Ur Rashid Swapan

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান খান জানান, মাওলানা আজাদ এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে৷ তিনি ভারত হয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বলে তাদের ধারণা৷ তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে৷

গত ১০ই এপ্রিল মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়৷ তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ফরিদপুরের শালতা, নগরান্দা এবং বোয়ালমারীসহ বিভিন্ন এলাকায় মানবতা বিরোধী অপরাধ করেন৷ তখন তিনি ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র হিসেবে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য