1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনমোহন সিং সরকারের রাজনৈতিক সংকট

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর জোট সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস মঙ্গলবার রাতে দলের কর্ম সমিতির দীর্ঘ বৈঠকের পর সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেবার সিদ্ধান্ত নেয়৷

https://p.dw.com/p/16BOw
ছবি: AP

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাই ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই চরম পদক্ষেপ৷ তৃণমূল মন্ত্রীরা আগামী শুক্রবার ইস্তফা দেবেন৷

তৃণমূলের সমর্থন প্রত্যাহারের পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বসে কংগ্রেস কোর কমিটির জরুরি বৈঠক৷ এতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস জোট সরকারের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি এবং শরিক দলগুলির নেতারা৷ আলোচনা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সরকারের স্থায়িত্ব বজায় রাখার বিকল্প উপায় নিয়ে৷

উল্লেখ্য, সংখ্যাগত হিসেবে কংগ্রেস জোট সরকার এখন সংখ্যালঘু৷ তৃণমূলের ১৯ জন সাংসদ হারাবার পর সংসদে সরকারের আসন সংখ্যা এখন ২৪৬৷ ন্যূনতম সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২৭২৷ তাই সরকারকে এখন নিতে হবে সমাজবাদী এবং বহুজন সমাজ পার্টির সমর্থন৷ যাদের মিলিত সংখ্যা ৪৩৷ আর যদি সেই সমর্থন জোটাতে না পারে তাহলে মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া গতি নেই৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য সংসদে আনা হতে পারে আস্থা বা অনাস্থা প্রস্তাব৷ প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, বামদল সেই রকম দাবি তুলেছে৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মমতার সিদ্ধান্তকে বলেছেন, হঠকারী৷ এতে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে৷ উন্নয়নী কাজ আটকে থাকবে৷ কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে৷ সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে৷

কেন্দ্রীয় সরকার মমতার সঙ্গে কথা বলার জন্য বার্তা পাঠিয়েছিল তৃণমূল মন্ত্রী মারফৎ৷ কিন্তু মমতা তাতে সাড়া দেননি৷ একথা অস্বীকার করে মমতা বন্দোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমার কাছে কোনো খবর আসেনি৷ এটা মিথ্যা, বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর৷ আমি অপেক্ষা করেছি, কেউ কথা বলেনি৷’’ রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু তৃণমূল প্রতিবাদ করে, তাই রাজ্যকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে কেন্দ্র৷ কিন্তু আমরা জানি কী করে ভাত খেতে হয়৷ ভারতের মানুষ কংগ্রেসকে ভাতে মারবে৷’’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মনে করছে, সবদিক থেকে নড়বড়ে এই সরকারের টিকে থাকা মুশকিল৷ মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া গতি নেই৷ বিজেপির মতে, লোকেদের বিশ্বাস, সংসদের বিশ্বাস হারানো সরকার জোড়াতালি দিয়ে বেশিদিন চালাতে পারবে না৷ তৃণমূল অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে৷ রাজনৈতিক দিক থেকে দুর্বল সরকার বিদেশি লগ্নিকারীদের কতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে, তা নিয়েও সংশয় আছে বিদেশি সংস্থাগুলির মনে৷

তবে সরকার এখনো সমঝোতার আশা একদম ছাড়েনি৷ অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেন, তৃণমূল মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা হতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার৷ তবে তিনি বলেছেন, আর্থিক সংস্কারের লক্ষ্যে যেসব সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার পরিবর্তন হবে না৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: জাহিদুল হক

Mamta Bannerjee
মমতা বন্দোপাধ্যায়...ছবি: DW
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য