1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে সব কেলেঙ্কারিকে ছাপিয়ে গেছে এবার খাদ্যশস্য কেলেঙ্কারি

৭ ডিসেম্বর ২০১০

ভারতে বিভিন্ন কর্মসূচির অধীনে সমাজের দরিদ্রতম পরিবারদের গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব অল্পদামে যে খাদ্যশস্য দেবার কথা উত্তরপ্রদেশে তা পাচার করা হোত অন্যত্র৷ এলাহাবাদ হাইকোর্ট এনিয়ে তদন্ত করাবার আদেশ দেন৷

https://p.dw.com/p/QRbD
কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ারছবি: UNI

খাদ্যশস্যে কেলেঙ্কারি আনুমানিক দুলাখ কোটি টাকার৷ ভারতে ২০১০ সাল চিহ্নিত হয়ে থাকবে কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে৷ এবার সব কেলেঙ্কারিকে ছাপিয়ে গেছে উত্তরপ্রদেশের খাদ্যশস্য বন্টন কেলেঙ্কারি যার পরিমাণ হবে প্রায় দুলাখ কোটি টাকা৷ শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি৷ দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা৷ এই দুর্নীতি যখন শুরু হয় তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদি পার্টির মুলায়েম সিং যাদব৷ তিনি সরাসরি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, এই দুর্নীতির কথা জানতে পেরে তিনিই এর তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী সেই তদন্তের গতি কী হলো সেদিকে মোটেই দৃষ্টি দেননি৷ কেন্দ্রীয় কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী শারদ পাওয়ার বলেন, কেন্দ্র খাদ্যশস্য সরবরাহ করে থাকে রাজ্যগুলিকে৷ সেই খাদ্যশস্য গরিবদের মধ্যে বন্টনের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের৷ রাজ্য সরকার সেই দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সেবিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন৷

Mulayam Singh Yadav
উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়েম সিং যাদবছবি: UNI

গরিব থেকেও গরিব এমন সব পরিবারকে গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে নামমাত্র দামে খাদ্যশস্য দেয়া হয় সরকারের অন্তোদয়, জহর রোজগার যোজনা এবং মিড-ডে মিল কর্মসূচির অধীনে৷ সেজন্য দরিদ্রতম পরিবারগুলিকে দেয়া হয় বিপিএল রেশন কার্ড৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশে তাঁদের জন্য মজুত করা খাদ্যশস্য তাঁদের না দিয়ে দুর্নীতিবাজরা পাচার করে দিত রাজ্যের বাইরে এমন কী দেশের বাইরেও৷ প্রতি বিপিএল পরিবারের পাওয়ার কথা মাসে ৩৫ কিলো খাদ্যশস্য৷ গম ৪.১৫ পয়সা কিলো এবং চাল ৬.৩৫ পয়সা কিলো দামে৷ সেই খাদ্যশস্য রাজ্যের বাইরে পাচার করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয় অনেক চড়া দামে৷

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক ডিভিশন বেঞ্চ এক জনস্বার্থ মামলায় এই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে দেবার নির্দেশ দেন যাতে ৬মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ শেষ হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক