1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে এফএম রেডিও – যেন নতুন যৌবনের দূত

১৯ অক্টোবর ২০১১

এফএম, অর্থাৎ ‘ফ্রিকোয়েন্সি মডিউলেশন'৷ জানা গেল, ভারতীয় বিনোদনের বহুমাত্রিকতায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে এফএম রেডিও৷ অথচ, কিছুদিন আগে পর্যন্তও এফএম ব্যান্ডে সংবাদ সম্প্রচারের অনুমতি ছিল না ভারতে৷

https://p.dw.com/p/12v6X
ভারতের সব প্রান্তেই পৌঁছে যায় রেডিও সিগন্যালছবি: UNI

দেশ-বিদেশের খবরাখবর, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায় না৷ কিন্তু তার মধ্যেও থাকে একটা ক্লান্তি৷ আর তার থেকে মুক্তির জন্যই চাই বিনোদন৷ তাই খুব শীঘ্রই, দেশের বৃহত্তম রেডিও স্টেশন ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও'-র সঙ্গে একযোগ হয়ে প্রায় ৮০০টি নতুন এফএম স্টেশন চালু করতে যাচ্ছে ভারত৷ সরকারি রেডিও স্টেশনের সঙ্গে বেসরকারি কোম্পানিগুলির এহেন যৌথ উদ্যোগ ভারতে এই প্রথম৷ জানালেন অন্যতম রেডিও জকি লাবণ্য পদ্মানাভন৷

গত প্রায় ১৩ বছর ধরে এই প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত লাবণ্য৷ সেদিনের সেই ‘রিল-টু-রিল টেইপস' থেকে হালের কম্পিউটারনির্ভর, ডিজিটাল প্রযুক্তি – সবই তাঁর চেনা৷ অথচ তাঁর কাছেও সারা দেশে এফএম রেডিও বিস্তারে সরকারের নতুন এ ঘোষণাটিকেই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে মনে হয়েছে৷ লাবণ্যের কথায়, ‘‘আমার জন্য আজও রেডিও-র বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই৷ ইথারে ইথারে একমাত্র রেডিও-ই পারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছতে, যেখানে অন্য কোনো প্রচারমাধ্যমের পক্ষে পৌঁছোনো সম্ভব নয়৷'' তাছাড়া, যৌবনের জলতরঙ্গে যাঁদের জীবন উচ্ছল, শুধু সেসব তরুণ-তরুণীই নয়, মধ্যবয়সী, প্রৌঢ় মানুষও এফএম রেডিও শুনতে উৎসাহী৷ তাই অচিরেই দেশজুড়ে পরিব্যাপ্ত হবে এফএম রেডিও, মন্তব্য লাবণ্য পদ্মানাভন-এর৷

Der indische Bollywood-Star Hrithik Roshan
রেডিও জকি হিসেবে বলিউড তারকা ঋত্বিক রোশনছবি: UNi

তবে শুধু লাবণ্যই নয়, ভারতের অন্যতম এফএম রেডিও ‘বিগ এফএম ৯২.৭'-এর কর্মকর্তারাও সরকারের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত উৎসাহিত৷ ‘রিলায়েন্স ব্রডকাস্ট নেটওয়র্ক'-এর প্রধান ফিন্যানশিয়াল অফিসার আশিস চ্যাটার্জি জানান, ‘‘এই প্রথম রেডিও আঞ্চলিক টিভি স্টেশনগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম হবে৷ দুটি মাধ্যমের মধ্যে গড়ে উঠবে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা৷''

এই মুহূর্তে ভারতের মোট ৮৬টি শহরে এফএম ব্যান্ডে রেডিও অনুষ্ঠান শোনা যায়৷ কিন্তু, সরকারের সঙ্গে নতুন এই চুক্তির ফলে দেশের প্রায় ২২৭টি শহরে এফএম রেডিও শোনা যাবে৷ অবশ্য প্রাথমিক পর্যায়ে এ চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য৷ যা স্বাভাবিকভাবেই ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, সাহায্য করবে ছোট শহরগুলির অর্থায়নের প্রক্রিয়াতেও৷

ভুলে গেলে চলবে না, টেলিভিশন আসার আগে রেডিও-ই মানুষের ‘বিনোদন ফেরিওয়ালার' কাজ করতো৷ আর আজকের যুগে নিত্যনতুন মোবাইল ফোনের কল্যাণে এফএম রেডিও হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর কর্ণযুগল দখল করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই৷ এমনকি নিত্যদিনের যানজটের সময় গাড়ির মধ্যেও বন্ধুর মতো হাত বাড়িয়ে দেয় রেডিও৷ আর ভবিষ্যতে, এফএম ব্যান্ডের নব ঘোরাতে ঘোরাতে আমরা পেয়ে যাবো শুধু প্রিয় শিল্পীর সুরেলা কন্ঠই নয়, প্রতিদিনকার সংবাদ শিরনামও৷

সে কারণেই, আন্তর্জাতিক চরিত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এফএম ব্যান্ডকে একটি আধুনিক বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে দেখতে চায় ভারত৷ যাতে বিনোদন তো থাকবেই, থাকবে মাটির সোঁদা গন্ধও৷ আর মানুষকে আরো একবার রেডিওমনস্ক করে তুলবে এফএম তরঙ্গ৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য