1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে চার বাংলাদেশি নিহত

১৭ ডিসেম্বর ২০১১

বাংলাদেশের দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও মেহেরপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে চার জন বাংলাদশি নিহত হয়েছে৷ বিএসএফ চার বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে নিশ্চিত করেছে৷

https://p.dw.com/p/13Uka
বাংলাদেশের সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে প্রতিনিয়তছবি: AP

তবে তারা তিনটি লাশ এখনো ফেরত দেয়নি৷ এ নিয়ে কাল পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা৷

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা সীমান্তে গভীর রাতে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ৷ নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিয়ার রহমান (২০) এবং বিরামপুরের তাইজুল ইসলাম (২৬)৷ তারা গরু ব্যাবসায়ী বলে জানা গেছে৷ বিজিবির ৪০ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মেজর তারেক ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, ‘‘গভীর রাতে গুলির শব্দ শুনে দাউদপুর বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল অনুসন্ধান শুরু করলে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চত হওয়া যায়৷ আজ এ নিয়ে এক দফা বেঠক হয়েছে৷ কাল আবার বৈঠকের কথা রয়েছে৷'' তিনি জানান, সীমান্তের অবস্থা এখন শান্ত রয়েছে৷

এদিকে, আজ ভোররাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি এলাকায় বিএসএফ-এর গুলিতে আলমগীর ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়৷ কুড়িগ্রামের শিমুলবাড়ি বিওপি কমান্ডার সুবেদার নিজাম উদ্দিন মন্ডল জানান, গোড়কমন্ডল সীমানা পিলারের কাছে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করলে সে আহত হয়৷ গুলি তার বাম পাজর ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়৷ তার সঙ্গিরা তাকে ফুলবাড়ি হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়৷

এছাড়া মেহেরপুরের মিরপুর শাওড়াতল সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে আরো একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ বিজিবি ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হামিদুন নবী চৌধুরি জানিয়েছেন, ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফ-এর কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে৷ বিজিবি বিএসএফ-এর কাছে তিনটি ঘটনারই প্রতিবাদ জানিয়েছে৷

ভারত সরকার সীমান্তে নাগরিকদের হত্যা বন্ধে বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না৷ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রইটস ওয়াচ চলতি বছরেই তাদের প্রতিবেদনে ভারত সরকারের নীতির সমালোচনা করে৷ বাংলাদেশও আনুষ্ঠানিকভাবে এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানায়৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য