1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত বনধে মিশ্র সাড়া

২০ সেপ্টেম্বর ২০১২

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাই এবং খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রতিবাদে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ডাকা ভারত বনধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে দেশ জুড়ে৷ পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এর প্রভাব ছিল আংশিক৷

https://p.dw.com/p/16ByV
ছবি: dapd

খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি এবং ডিজেলের দাম বাড়ানোর মতো সরকার ঘোষিত আর্থিক সংস্কারের প্রতিবাদে বিজেপি, বাম ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির ডাকা ১২ ঘণ্টার ভারত বনধে মিশ্র সাড়া৷ বিরোধী দলের প্রাধান্য রয়েছে এমন রাজ্যগুলিতে বনধের প্রভাব ছিল বেশি এবং কংগ্রেসপ্রধান রাজ্যগুলিতে কম৷ বিহার, পাঞ্জাব, কর্নাটকের জনজীবন বিপর্যস্ত৷ বনধ সমর্থক দলগুলির নেতা কর্মীরা বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেপ্তার বরণ করেন৷

দিল্লিতে বনধের প্রভাব বেশি পড়েনি৷ অর্ধেক দোকানপাট ছিল খোলা৷ যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক৷ তবে অটোরিক্সা কমই চোখে পড়ে৷ দিল্লি রেল স্টেশনে এর জন্য যাত্রিদের ভুগতে হয়৷ মেট্রো ট্রেন অবশ্য যথারীতি চলেছে৷ কিছু বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকে৷ অফিসে হাজিরা ছিল সামান্য কম৷

A man carrying a ladder walks past parked buses during a day long nationwide strike in Jammu, India, Thursday, Sept. 20,2012. Angry opposition supporters disrupted trains in India on Thursday but had only limited success in enforcing a national strike to protest a government decision to cut fuel subsidies and open the country's huge retail market to foreign companies. (AP Photo/Channi Anand)
বিজেপি, বাম ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির ডাকা ১২ ঘণ্টার ভারত বনধে মিশ্র সাড়া ছিলছবি: dapd

বিহার, ওড়িষা, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় রেল লাইন অবরোধে৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বাম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গতকালই এই বনধকে কর্মনাশা, ধর্মনাশা, অর্থনাশা অ্যাখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন যে, কথায় কথায় রাজ্যে বনধের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবেনা৷

বিহারে বনধের সমর্থনে পথে নামে শাসকদল সংযুক্ত জনতাদল৷ উত্তর প্রদেশে নামে সমাজবাদী পার্টি৷ ওদিকে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িষায় বনধ পালিত হয়নি উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য৷

প্রতিবাদ বিক্ষোভ মূলত খুচরো বাজারে বিদেশি লগ্নি নিয়ে৷ এই ইস্যুর ইতিবাচক বা নেতিবাচক দিকগুলির প্রকৃত বাস্তব মূল্যায়ন হবার আগেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরকারকে আরো কোণঠাসা করার এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ৷ ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি বড় বালাই৷ বামদল এই বনধকে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের এক সম্ভাবনা বলে মনে করছে৷ আর কংগ্রেস বলছে, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নিতে দেশ উপকৃত হবে৷ বাইরে থেকে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে৷ তাই ছোট দোকানদার বা কৃষিজীবীরা মার খাবে এই ধারণা দূর করা দরকার৷ সারা বিশ্ব তাহলে এ পথ গ্রহণ করতো না৷

বনধ সমর্থক বিজেপি'র মত হলো, বর্তমান সরকারকে জনতা ভোট দিয়েছে৷ যেসব দল সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিচ্ছে তাদের উচিত, অর্থ ব্যবস্থা ও দেশের গরিব মানুষদের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ - তা প্রমাণ করা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য