1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-জার্মান সহযোগিতা : সুযোগ অফুরন্ত

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১১

ভারত-জার্মান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর উপলক্ষে আজ থেকে ভারতে শুরু হলো দ্বিপাক্ষিক মেলবন্ধনের এক বর্ণাঢ্য কর্মসুচি৷ এতে তুলে ধরা হবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাবনা৷

https://p.dw.com/p/12fOh
দিল্লিতে মুক্তাঙ্গনে শ্রোতাদের আনন্দ দেবে ডয়চে ফিলহার্মনিক অর্কেস্ট্রাছবি: Deutsche Philharmonie MERCK

আজ নতুন দিল্লিতে ভারত-জার্মান সহযোগিতার বহুমাত্রিক এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী কর্নেলিয়া পিপার৷ শিরোনাম ‘ভারত-জার্মান সহযোগিতা: অফুরন্ত সম্ভাবনা'৷ দুদেশের মধ্যে এত বড় আকারের কর্মসূচি এর আগে ভারতে আর হয়নি৷ উপস্থিত ছিলেন অন্যান্যদের মধ্যে জার্মানির এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য কমিটির চেয়ারম্যান পেটার ল্যোয়েশার, ম্যাক্স ম্যুলার ভবনের আঞ্চলিক অধিকর্তা হাইকো সিভার্স, নতুনদিল্লির জার্মান রাষ্ট্রদূত টোমাস মাটুসেক প্রমুখ৷

Poster Infinite Rhythms
ভারতে জার্মানি উৎসবের এক পোস্টারছবি: DW

উদ্বোধনী মন্তব্যে মাটুসেক বলেন, কর্মসূচির মূল ক্ষেত্র নগরায়ন৷ ভারতে ভবিষ্যৎ নগরায়নের জটিল সমস্যার সমাধান করবে জার্মানির প্রযুক্তি আর ভারতীয় মেধা৷ জার্মানির এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্য কমিটির চেয়ারম্যান লোশার বললেন, ভারতে ৫৭কোটি লোক বাস করে শহরে৷ এই সংখ্যা বাড়ছে এবং বাড়বে৷ শহর জীবনে যেসব সমস্যা আসবে তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দরকার উন্নত প্রযুক্তি,স্থাপত্য সেটা পূরণের ক্ষমতা আছে জার্মানির৷এক্ষেত্রে জার্মানির গ্রিন টেকনলজি বিশ্বের পয়লা নম্বরে৷ শুধু নগরায়নের মধ্যেই সহযোগিতা সীমাবদ্ধ থাকবেনা৷ ভারতের যুব সমাজের গড় বয়স এখন ২৬৷ তাঁদের মেধাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে৷ শিক্ষা ও জ্ঞানের আদানপ্রদানের মাধ্যমে সেই অফুরন্ত সুযোগকে কাজে লাগাতে হাত বাড়িয়েছে বশ, সিমেন্স, ডয়চে ব্যাঙ্ক, আলিয়ান্সের মত জার্মানির নামকরা সব কোম্পানি৷ ৷

মোবাইল স্পেস নামে বহুমুখী প্যাভেলিয়ানের নক্সা ও মডেল বানিয়েছেন জার্মান শিল্পী মার্কুস হাইনড্রফ৷ তিনি তা তুলে ধরবেন কোলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে কয়েকমাস ধরে কোলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে৷ আজ দিল্লিতে মুক্তাঙ্গনে শ্রোতাদের আনন্দ দেবে ডয়চে ফিলহার্মনিক অর্কেস্ট্রা৷ সংস্কৃতির অঙ্গনে মিলিত হবেন ভারতও জার্মানির অনেক শিল্পী৷ ১৫ মাস ধরে চলবে এই কর্মকাণ্ড৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক