1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বব্যাপী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেখা দেবে খাদ্য সঙ্কট : অক্সফ্যাম

১০ জুন ২০১১

অক্সফ্যাম জানাচ্ছে যে, নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের দাম হবে আকাশ ছোঁয়া এবং খাদ্য উৎপাদন যাবে কমে৷ এই পরিস্থিতি পাল্টাতে অক্সফ্যাম শুরু করেছে বিশেষ একটি প্রচারাভিযান৷

https://p.dw.com/p/11YS4
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ স্পর্শ করবে,বলছে অক্সফ্যামছবি: APImages

সারা বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি এবং অনাহারে থাকা মানুষের কথা বলতে গিয়ে অক্সফ্যাম প্রকাশ করেছে ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য৷ খাদ্য সরবরাহ কমে যাচ্ছে পৃথিবীতে৷ কিন্তু কমে যাচ্ছে না মানুষের সংখ্যা৷ ক্ষুধা বাড়ছে মানুষের৷ অক্সফ্যাম একে বলছে, ‘ব্রোকেন ফুড সিস্টেম' বা ভেঙ্গে পড়া খাদ্যের যোগান ব্যবস্থা৷ এই যোগান ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার ফলে, বিশ্বে প্রায় একশো কোটি মানুষ অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷

এই মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে অক্সফ্যামের নতুন প্রচারাভিযান৷ নাম ‘গ্রো ক্যাম্পেইন' অর্থাৎ ফসল ফলানোর ওপর জোর দেয়া হবে এই প্রচারাভিযানের মধ্যে দিয়ে৷ এর পাশাপাশি বিশ্বের নেতা-নেত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে কৃষকদের ভর্তুকির প্রদানের বিষয়ে৷ এছাড়া কৃষিকাজে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তা জানানো হচ্ছে এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমে৷ এই পরিবর্তনের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে খাবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব তা বেশ জোর দিয়ে বলছে অক্সফ্যাম৷

এই প্রচারাভিযানের মধ্যে দিয়ে উন্নত দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে৷ দেখানো হবে তাদের জীবন-যাত্রার মান কীভাবে উন্নয়শীল দেশগুলোকে প্রভাবিত করে৷

অক্সফ্যাম জার্মানির কর্মী মারিটা ভিগারটালে৷ তিনি খাদ্য রপ্তানি এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে, তার পরিবর্তন করা প্রয়োজন৷ টেকশই উপায়ে খাদ্য উৎপাদন করার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি৷''

যে প্রতিবেদন অক্সফ্যাম প্রকাশ করেছে তাতে জানানো হয়েছে যে, সারা বিশ্বে প্রায় নয়শো কোটি মানুষ প্রতিদিন অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটায়৷ অর্থাৎ, প্রতি সাত জনের মধ্যে একজন না খেয়ে থাকে৷

২০০৭ সাল থেকে বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়েছে এবং তা বেড়েই চলেছে৷ ভুট্টা এবং চালের দাম আরো বাড়বে৷ এই মুহূর্তে যে দাম রয়েছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে তা বেড়ে দ্বিগুন হবে৷ এর ফলে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে৷ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খাদ্য উৎপাদনে ব্যহত ঘটিয়েছে বন্যা, খরা এবং দাবানলের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো৷ আর এর সঙ্গে রয়েছে আবহাওয়া এবং পরিবেশের বিশাল পরিবর্তন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ