1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের বিরোধিতা করেছেন জার্মান মন্ত্রী

২৬ জুন ২০১১

জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেল’এর বাংলাদেশ সফর জার্মান সংবাদ মাধ্যমের নজর কেড়েছে৷ বাংলাদেশে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পরমাণু বিদ্যুতের বিরোধিতা করেছেন মন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/11jf1
বাংলাদেশে জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেলছবি: Harun Ur Rashid Swapan

দৈনিক ‘রাইনিশে পস্ট' লিখেছে, বাংলাদেশে নিবেল তারকার মর্যাদা পেয়েছেন৷ স্বদেশে তেমন কদর না পেলেও, ঢাকায় প্রায় ৭০ জন সাংবাদিক তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন৷ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে তাঁর সফর বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে৷ জার্মানি ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে বটে, কিন্তু বাংলাদেশে জ্বালানির বেড়ে চলা চাহিদা মেটানোর পথ সম্পর্কে নিবেল'এর সফরের সময় মতপার্থক্য চোখে পড়েছে৷ ভূমিকম্প ও বন্যার বিপদ এবং উপযুক্ত প্রকৌশলির অভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়৷ এককালে পরমাণু শক্তির প্রবক্তা হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার সময় নিবেল এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন৷ প্রচণ্ড গরম ও আদ্রতার মধ্যে ঘেমে-নেয়ে নিবেল বাংলাদেশের গ্রামে গিয়ে জার্মানির সাহায্যে নির্মিত জৈব গ্যাস প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন৷ অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে তিনি বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় মানুষের মুখ থেকে সৌর বিদ্যুতের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনেছেন৷ জার্মানির এক উন্নয়ন ব্যাংক সেই অঞ্চলে ছোট আকারের সৌর প্যানেল বসানোর কাজে সাহায্য করছে৷ কাছেই লোহাকুড়া সরকারী প্রাইমারী স্কুল পরিদর্শন করেন জার্মান মন্ত্রী৷ সেখানে শিশুরা হাসিমুখে তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়৷ বাংলাদেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হওয়া সত্ত্বেও সেই গ্রামে বোরখা পরা মহিলাদের সংখ্যা নগণ্য বলা চলে৷ লোহাকুড়ার স্কুলেও ছেলেমেয়েরা দিব্যি একসঙ্গে পড়াশোনা করছে – এমনটা দেখে নিবেল বেশ মুগ্ধ হয়েছেন৷ স্কুলে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় বেশি৷

Dirk Niebel in Dhaka Bangladesch
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ডির্ক নিবেলছবি: Harun Ur Rashid Swapan

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল দেখে প্রতিবেদনের লেখকের মনে হয়েছে, তিনি যেন কয়েক শতাব্দী আগের কোনো সময়ে ফিরে গেছেন৷ শুধু দারিদ্র নয়, অত্যন্ত সহজ সরল জীবনযাত্রা বর্তমান প্রযুক্তি-নির্ভর যুগের সঙ্গে যেন একেবারেই খাপ খায় না৷ তবে চারিদিকে ইউনিফর্ম পরা স্কুল ছাত্রছাত্রীদের কোলাহল উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস এনে দিচ্ছে৷ বাংলাদেশের মানুষের অবিশ্বাস্য প্রাণশক্তি জার্মান প্রতিনিধিদলকে মুগ্ধ করেছে৷

‘লাইপসিগার ফল্কস সাইটুং'ও পরমাণু শক্তির ব্যবহার নিয়ে নিবেল'এর আপত্তির উল্লেখ করেছে৷ বহুকাল আগে জার্মানির পরোক্ষ সাহায্যে বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কথা হয়েছিল বটে, কিন্তু ইতোমধ্যে জার্মানি পরমাণু শক্তির পথ পুরোপুরি ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশ সরকার অন্য কোনো পথে পর্যাপ্ত মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখতে পারছে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ