1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে অতিরিক্ত চাপ নেয়ার মতো পরিবহণ কাঠামোর অভাব

২৩ আগস্ট ২০১১

ঈদের সময় কম করে হলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত ৭ কোটি মানুষ যানবাহন ব্যবহার করে বাংলাদেশে৷ কিন্তু এই বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলানোর মত যানবাহন এবং অবকাঠমো বাংলাদেশে নেই৷

https://p.dw.com/p/12LO9
A passenger train carries Islamic pilgrims returning after a 3-day Islamic congregation in Tongi, Bangladesh, 15 kilometers (10 miles) north of Dhaka, Bangladesh, Sunday Dec. 15, 2002. The three-day Islamic congregation which began Dec. 13, had participants from nearly 80 countries, and aimed to discuss Islam and the problems it faces today.
ছবি: AP

এই চাপের ফলে দুর্ঘটনা আর জনদুর্ভোগ অবধারিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ তারা মনে করেন, এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে রেল ও নৌ যোগাযোগের দিকে জোর দিতে হবে৷

ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনালে গেলেই দেখা যাবে অগ্রিম টিকেটের জন্য লম্বা লাইন৷ তারা সবাই যে টিকেট পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই৷ আবার টিকেট পেলেও পথে পথে ভোগান্তির শিকার হবেন, আছে জীবনের ঝুঁকি৷ তবুও ঈদে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে ঈদে গ্রামের বাড়ি যেতেই হবে৷ এযেন এক ধরাবাঁধা নিয়ম৷

পরিবহণ কর্মচারীরা জানান, কয়েকদিনের জন্য যাত্রী কয়েকগুণ বেড়ে যায়, কিন্তু গাড়িতো আর বাড়ান সম্ভব নয়৷ তাই তারা বাসের ট্রিপ বাড়িয়ে দেন৷ এতে গাড়ি, চালক আর রাস্তার ওপর চাপ পড়ে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা জরিপ করে দেখেছন ঈদের কয়েক দিনে বাড়তি ৭ কোটি মানুষ পরিবহণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে৷

পরিহণ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক ড. শাসসুল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, এসময়ে বাসের সংখ্যা বাড়িয়েও কোন লাভ হয়না কারন রাস্তাতো আর বাড়েনা৷ তাই জনদুর্ভোগ বাড়ে, বাড়ে দুর্ঘটনা৷ তিনি বলেন, রেল ও নৌ যোগাযোগকে সবচেয়ে নিরাপদ ভাবা হয়৷ কিন্তু বাংলাদেশে সড়ক পথে যাত্রী চলাচল করে সবচেয়ে বেশি, ৭৫ ভাগ৷ আর রেল ও নৌপথে যথাক্রমে ১২ ও ১৩ ভাগ৷ সমস্যা সমাধানে তিনি তাই রেল ও নৌপথকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন৷

আর অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী মনে করেন, প্রতি ৩ বছরের পরিবর্তে প্রতিবছর বিনোদন ছুটির নিয়ম করলে ঈদে দল বেঁধে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা কমবে৷

ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ও ড. শাসসুল হক - দু'জনই বলেন, বিষয়টি নিয়ে সবাইকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক