1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ থেকে জাহাজ কিনল জার্মানি

২৭ নভেম্বর ২০১০

জার্মানির কাছে দু'টি বড় সমূদ্রগামী জাহাজ হস্তান্তর করল বাংলাদেশ৷ জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দু'দেশের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা৷ বাংলাদেশ থেকে আরো ১২টি জাহাজ নেবে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/QJko
বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েল ও জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ষ্টেট সেক্রেটারি মার্টিন বিজেলছবি: DW

বাংলাদেশ প্রথমবারের মত বড় সমূদ্রগামী জাহাজ তৈরি করল৷ আর তা জার্মানির গ্রোনা শিপিং-এর কাছে হস্তান্তর করা হল শুক্রবার৷ জাহাজ দু'টির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ওয়েষ্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড৷ চট্টগ্রাম ড্রাইডকে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, জার্মান পররাষ্ট্র দফতরের ষ্টেট সেক্রেটারি মার্টিন বিজেল, জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েল, ব্যবসায়ী এবং পদস্থ কর্মকর্তারা৷ বাংলাদেশ আধুনিক সমূদ্রগামী জাহাজ তৈরিতে সক্ষম হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী৷ তিনি জাহাজ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশে আলাদা জোন গড়ে তোলার কথা বলেন৷ আর শিল্পে অগ্রগতির জন্য ব্যাংক সুদের হার কমানোর আহ্বান জানান৷

জার্মান পররাষ্ট্র দফতরের ষ্টেট সেক্রেটারি মার্টিন বিজেল বলেন এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সফলতা৷ বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল৷ তিনি আশা করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরো সফল উদাহরণ সৃষ্টি করবে৷

জাহাজের ক্রেতা জার্মানির গ্রোনা শিপিং-এর কর্ণধার মার্কু ভেডার বলেন, বাংলাদেশে তৈরি এই জাহাজ আধুনিক এবং উন্নতমানের৷ তিনি জাহাজ হস্তান্তরের দিনটিকে বাংলাদেশের দিন হিসেবে অভিহিত করেন৷

জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েষ্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড'এর প্রধান সাইফুল ইসলাম জানান, এই আধুনিক জাহাজ দেখে জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে জার্মানি তথা ইউরোপে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে৷ তিনি জানান জার্মানি ৯শ' কোটি টাকায় আরো ১২টি জাহাজ কিনবে জার্মানি৷

ওয়েষ্টার্ন মেরিন নতুন এই জাহাজ দু'টির প্রতিটি ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে৷ প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার ২শ' টন এবং স্বয়ংক্রিয়৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন , ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন