1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্ণবৈষম্য দূর করতে কাজ করে যাবেন হ্যানসেন ক্লার্ক

১০ জুলাই ২০১১

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিন কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন ক্লার্ক৷ ইতিহাস রচনাকারী এই রাজনীতিকের এখনও মাঝে মধ্যে মনে হয় তিনি যেন নিজ দেশে পরবাসী৷

https://p.dw.com/p/11sTc
ক্যাপিটল হিলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন হ্যানসেন ক্লার্কছবি: AP

‘‘যদি আমি কয়েকদিন দাড়ি না কামাই এবং আমার মাথায় হুডটা টেনে বের হই, কিংবা যদি আমি আমার জগিং স্যুটটা পরে বিমানবন্দরে যাই তাহলেই আমাকে কড়া চেকিং এর মধ্যে পড়তে হয়৷'' গত জানুয়ারি মাসে কংগ্রেসে নির্বাচিত হওয়ার পর ডেট্রয়েটের এই কংগ্রেসম্যানের লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বর্ণবৈষম্য এবং অহেতুক সন্দেহ দূর করা৷ বর্তমানে তিনি মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাউস কমিটিরও সদস্য হিসেবে কাজ করছেন৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছে৷ কিন্তু এগারই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর এখন তার পরিধি আরও বিস্তৃত হয়েছে৷ হ্যানসেন ক্লার্ক বলেন, ‘‘এখানকার আফ্রিকান অ্যামেরিকানরা গত কয়েক শতাব্দী ধরে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তার কিছু অভিজ্ঞতা এগারই সেপ্টেম্বরের পর দক্ষিণ এশিয়ানরা জানতে পেরেছে৷ আমার দেশের বিরুদ্ধে যে হুমকি রয়েছে সেটি সম্পর্কেও আমি সজাগ৷ কিন্তু আপনি যখন কাউকে সন্দেহ করেন এবং তার পেছনে সময় ব্যয় করেন, এমন হতে পারে সে হয়তো সন্দেহের যোগ্যই নয়'', বলেন ৫৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিক৷

Hansen Clarke
বর্ণবৈষম্যহীন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ক্লার্কছবি: AP

হ্যানসেন ক্লার্কের বাবা একজন বাংলাদেশি হলেও মা একজন আফ্রিকান অ্যামেরিকান৷ তিনি নিজে বিয়ে করেছেন একজন কোরীয় নারীকে৷ সংস্কৃতির এই বিভিন্নতা তাঁর চিন্তাতেও বহুমুখী দিকের উন্মোচন করেছে৷ কয়েক বছর আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং তাঁর পিতৃপুরুষের জায়গা বিয়ানীবাজার ঘুরে দেখেন৷ ওই সময় তিনি অভিভূত হন৷

তবে নিজেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলার চেয়ে একজন দক্ষিণ এশিয়ান বলতেই বেশি পছন্দ করেন ক্লার্ক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা যখন মারা যান তখন বাংলাদেশেরই জন্ম হয়নি এবং তিনি নিজেকে একজন ভারতবর্ষের নাগরিক বলেই মনে করতেন৷'' উল্লেখ্য, ক্লার্কের বাবা মোজাফফর আলী হাশিম যখন মারা যান তখন হ্যানসেন ক্লার্কের বয়স মাত্র আট৷ বাবার নাম না নিয়ে তিনি মায়ের নামেই বেশি পরিচিত৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য