1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে হামলা

২০ মার্চ ২০১২

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই তিনটি চাঞ্চল্যকর হামলার ফলে ফ্রান্সের রাজনৈতিক পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে গেছে৷ পুলিশ হামলাকারীর খোঁজ করছে৷

https://p.dw.com/p/14NjQ
ছবি: AP

সোমবার তুলুজ শহরে একটি ইহুদি স্কুলের সামনে এক স্কুটার আরোহী গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে ৩ জনই শিশু৷ পুলিশ ও প্রশাসন মনে করছে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ কারণ ৮ দিনে তিনটি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে৷ প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১১ই মার্চ৷ তুলুজ শহরেই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান ফরাসি সেনাবাহিনীর এক প্যারাট্রুপার সৈন্য৷ তাঁর পূর্বপুরুষেরা এসেছিলেন উত্তর আফ্রিকা থেকে৷ এর ৪ দিন পর দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে কাছেই মঁতোবাঁ শহরে৷ এবারেও শিকার উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ২ ফরাসি সৈন্য৷ গুলিতে গুরুতরভাবে আহত হন ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত আরেক সৈন্য৷ এর পেছনে কোনো সিরিয়াল কিলার'এর হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ গোটা দেশ জুড়ে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ আরও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

Frankreich Anschlag Schule Toulouse Sarkozy
ইহুদি স্কুলের সামনে প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি বিবৃতি দিচ্ছেনছবি: AP

সবকটি হামলার লক্ষ্য বিদেশি, মুসলিম বা ইহুদি বংশোদ্ভূত মানুষ হওয়ায় এর পেছনে চরম ঘৃণা বা বিদ্বেষের গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশ মুসলিম ও ইহুদি স্কুলগুলির সামনে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ক্লোদ গেয়ঁ বলেছেন, পুলিশ এখনো আততায়ীর পরিচয় জানতে পারে নি৷ কারণ সে মুখ ঢাকা হেলমেট পরে ছিল৷ অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে-চিন্তে সে হামলা চালিয়েছে৷ স্কুটার দাঁড় করিয়ে রেখে গুলি চালিয়ে তারপর শান্তভাবে স্কুটার চালিয়ে সে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে গেছে৷ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যে হামলাকারীর ঘাড়ে একটি ভিডিও ক্যামেরা লাগানো ছিল, অর্থাৎ সে হত্যাকাণ্ডের ছবিও ধরে রাখতে চেয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, ৩টি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও চোরাই স্কুটার সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে কয়েক হাজার মানুষের পরিচয় সংক্রান্ত নথিপত্র ঘেঁটে দেখা হচ্ছে৷ আরেকটি সূত্রকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তদন্তকারীরা৷ ২০০৮ সালে মঁতোবাঁ শহরে সেনানিবাস থেকে ৩ জন সৈন্যকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ তারা নাৎসি কায়দায় সেলাম ঠুকছিল৷ নব্য নাৎসি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদেরই কেউ প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

এমন এক মর্মান্তিক ঘটনার জের ধরে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার অভিযান৷ প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি ও তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ সমাজতন্ত্রী দলের ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

সোমবার টুলুজ শহরের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হামলার পেছনে যে ইহুদি বিদ্বেষ কাজ করেছে, তা অত্যন্ত স্পষ্ট৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য