1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুককে ঠেকাতে চালু হলো ‘গুগবুক’

৩০ জুন ২০১১

গুগল আর ফেসবুকের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই বহুদিনের৷ সাদা চোখে হয়তো মনে হবে, এই দুটি সংস্থার ধরন অনেকটাই আলাদা৷ কিন্তু ইন্টারনেট দুনিয়ায় ক্লিকের যে হিসেব-নিকেশ, তাতে ফেসবুক ক্রমশই গুগলের কাছে চলে আসছে৷

https://p.dw.com/p/11lDI
Dossierbild Datensicherheit Google Facebook 2(3)
ছবি: DW/BilderBox

একথা সত্য, এখনো ফেসবুকের চেয়ে গুগলের ব্যবহারকারী বেশি৷ কিন্তু বাণিজ্যিক দিক থেকে কিছুক্ষেত্রে গুগলকে পেছনে ফেলেছে ফেসবুক৷ যেমন, বিজ্ঞাপনদাতারা জানতে চায়, একজন ব্যবহারকারী একটি ওয়েবসাইটে কতক্ষণ সময় কাটায়? গতমাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যবহারকারী গুগলের চেয়ে ফেসবুকে ৬২ শতাংশ সময় বেশি কাটায়৷ আর গুগলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক বেশি পাতা প্রদর্শন করে ফেসবুকে৷

এবার তাই, ফেসবুক বধে নতুন অস্ত্র নিয়ে মাঠে হাজির গুগল৷ সেবার নাম গুগল+৷ ফেসবুকের যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো গুগলের এই সেবায় নেই৷ যেমন, ফেসবুক-এ সুযোগ দুটি৷ হয় বন্ধু নয়তো কেউ নয়৷ গুগল+ এ আপনি আপনার পরিচতজনদের বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে আলাদা আলাদাভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন৷ যে কোন তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষার পুরো স্বাধীনতা থাকবে আপনার৷ পাবেন রিয়েল টাইম ফটো এবং ভিডিও আপলোডের সুযোগ৷ তাছাড়া, চ্যাটিং এর ক্ষেত্রেও রয়েছে বাড়তি নানা সুযোগ সুবিধা৷

গুগল কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, তাদের এই সেবা ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়৷ তবে, এই সেবার অনানুষ্ঠানিক নাম কিন্তু ‘গুগবুক'৷ মানে গুগলের অভ্যন্তরে এই নামটাই সবাই ব্যবহার করছে৷ সংস্থাটি তিনশত কর্মীকে এই প্রকল্পের পেছনেই কাজে লাগিয়েছে৷

উল্লেখ্য, গুগল এর আগে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে চালু করেছিল অর্কুট এবং গুগল বাজ৷ হতাশার কথা হচ্ছে, দুটো সেবার কোনটাই বাজারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি৷ এবার অনেক সতর্ক গুগল৷ ‘গুগল+' কে সংস্থাটি আলাদা কোন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেনি৷ বরং আপাতত ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বাড়তি' কিছু হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছে অনানুষ্ঠানিক ‘গুগবুক'৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান