1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুকুশিমার পরমাণু বিকীরণ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে: প্রধানমন্ত্রী

১৬ ডিসেম্বর ২০১১

জাপানের ফুকুশিমায় পরমাণু দুর্ঘটনার প্রায় নয় মাস পর, সেখানকার পরমাণু তেজস্ক্রিয়া আয়ত্তে আনা গেছে বলে জানিয়েছে জাপান৷ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুসংবাদটি জানান প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা স্বয়ং৷

https://p.dw.com/p/13UIg
‘ফুকুশিমা নিরাপদ নয়' – এই সতর্কতাবাণী তুলে নিল সরকারছবি: picture-alliance/dpa

মাত্র তিন মাস আগেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ফুকুশিমায় পরমাণু তেজস্ক্রিয়ার মাত্রা স্বল্প হলেও তা একেবারে বন্ধ হয় নি৷ তাই প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা'র আজকের এই ঘোষণা অবশেষে জাপানের মানুষ এবং সেই সঙ্গে বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে এনেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গত মার্চ মাসের ভুমিকম্প এবং তার সঙ্গে পরমাণু দুর্ঘটনা যে সমস্যার সৃষ্টি করেছিল, তা মোকাবিলা করতে এতোদিনে সক্ষম হয়েছি আমরা৷ আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ঐ অঞ্চল থেকে তেজস্ক্রিয় পারমাণবিক পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলা এবং জায়গাটি মানুষের বাসযোগ্য করে তোলা৷''

Flash-Galerie 2011 Jahresrückblick Fukushima
এরপরও অবশ্য স্বস্তি নেই স্থানীয়দের...ছবি: picture alliance/dpa

ভুলে গেলে চলবে না, ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর মূল পরমাণু চুল্লি থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা মানুষের বসবাসের উপযুক্ত নয় বলে ঘোষণা করে জাপান সরকার৷ নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মানুষজনকে৷ সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় পুরো এলাকায়৷ তাই আজ, ‘ফুকুশিমা নিরাপদ নয়' – এই সতর্কতাবাণী তুলে নেওয়ার পরও স্বস্তি পাচ্ছেন না স্থানীয়রা৷ বিশেষ করে, চুল্লি আছে এমন অনেক এলাকার মানুষই ফুকুশিমার ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয় পাচ্ছেন এখনও৷

শোনা যাচ্ছে, এদের মধ্যে হামাওকা অঞ্চলের মানুষ রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে৷ সেখানকার চুল্লিটি প্রায় ৪০ বছরের পুরানো৷ শুধু তাই নয়, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে ঐ চুল্লিটি নাকি একটি প্রধান সক্রিয় ‘ফল্ট লাইন'-এর ওপর অবস্থিত৷ জানিয়েছেন জাপানের পরমাণু নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ‘নিসা' উপ-প্রধান তাকাশি সাভাদা৷ তবে তিনি জানান, জাপানের ‘টোকিও ইলেকট্রিক অ্যান্ড পাওয়ার কোম্পানি' এবং ‘নিসা' শুরু থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে চুল্লিগুলোর বিভিন্ন ব্লক এবং কুলিং পুলের ফুয়েল রডগুলোকে স্থিতিশীল রাখতে৷

Japan Fukushima Tsunami trifft Kraftwerk
প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে হামাওকা চুল্লিটি একটি প্রধান সক্রিয় ‘ফল্ট লাইন'-এর ওপর অবস্থিত...ছবি: AP

গত ১১ই মার্চ ভূমিকম্প ও সুনামি থেকে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাপানের এই ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি৷ এর পরপরই বিপর্যস্ত ঐ ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালক মাসো ইয়োশিদা অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করেন৷ তবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণজনিত কোনো সংক্রমণ থেকে তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন কি না – তা এখনও জানা যায় নি৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল বিপর্যয়ের পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান