1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব অর্থনীতি

১৯ ডিসেম্বর ২০১২

বিশ্বায়নের যুগে এক অঞ্চলের আর্থিক নীতির প্রভাব অন্য অঞ্চলে পড়বে এটাই স্বাভাবিক৷ এতদিন ইউরো সংকট বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেললেও এবার সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে৷

https://p.dw.com/p/174ho
ছবি: Getty Images

তথাকথিত ‘ফিসক্যাল ক্লিফ’ বয়ে আনছে সেই শঙ্কা৷ এটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা অনেকদিন ধরেই বিতর্ক করছেন৷ কেননা নতুন একটা চুক্তিতে পৌঁছতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন অনেক নাগরিক৷ সরকারের দেয়া বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা, যেমন বেকার ও অবসরভাতা ইত্যাদি কমে যাবে৷ এছাড়া তার একটা মারাত্মক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতির উপর৷

সোমবার রাতে ফিসক্যাল ক্লিফ আলোচনায় বড় ধরণের অগ্রগতি হয়েছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর আগের শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে৷ ওবামা বলছেন, যে সব মার্কিনির বাৎসরিক আয় চার লক্ষ ডলারের ওপর তাদেরকে বেশি কর দিতে হবে৷ এর আগে ওবামার ইচ্ছা ছিল, যাদের আয় দুই লক্ষ ডলারের বেশি, তাদের ওপরই অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো৷

এদিকে, ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি নিশ্চিত করে বলেছেন যে, তিনি যদি আবার ক্ষমতায় যান তাহলে ইটালির বর্তমান সরকারের নেয়া সংস্কার কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনবেন৷

EU Gipfel in Brüssel Silvio Berlusconi
ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনিছবি: dapd

বার্লুসকোনির এই মন্তব্যে ইউরোপের নেতাদের মনে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ কারণ ইটালিতে আর দুই তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তাতে বার্লুসকোনি জিতে আসতে পারেন৷ এই বার্লুসকোনির কারণেই ইটালির আর্থিক পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং এ কারণেই বার্লুসকোনিকে পদ ছাড়তে হয়েছিল৷ পরবর্তীতে বর্তমান টেকনোক্র্যাট সরকার নানান সংস্কার কর্মসূচি নেয়ায় ইটালির অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ এই অবস্থায় বার্লুসকোনি যদি ফিরে এসে সংস্কার কর্মসূচি বাদ দিয়ে দেয়, তাহলে পুরো ইউরোজোনই বিপদে পড়তে পারে বলে ইইউ নেতাদের আশঙ্কা৷ তাই ইটালির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি নির্বাচনে দাঁড়াক, এটা চাইছেন ইইউ নেতারা৷ কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে, মন্টি নির্বাচন করুক এটা অধিকাংশ ইটালীয় চান না৷ কেননা মন্টির কঠোর কর্মসূচির কারণে অনেক ইটালীয়কে ব্যক্তিগতভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷ যদিও আখেরে লাভ হয়েছে পুরো দেশেরই৷

ইউরোপের ব্যাংকগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ অর্থমন্ত্রীরা ক'দিন আগে একটা ‘ব্যাংকিং ইউনিয়ন' গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন৷ এই ইউনিয়নের দায়িত্ব পড়বে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি'র ওপর৷ কিন্তু জার্মানি মনে করছে, এর ফলে ইসিবি'র যে মূল কাজ, অর্থাৎ আর্থিক নীতি নির্ধারণ, সেটা প্রভাবিত হবে৷ কিন্তু ইসিবি'র প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি অবশ্য বলছেন যে, তাতে কোনো সমস্যা হবে না৷ তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বিশ্বমানের নীতি গ্রহণ করা হবে৷

উল্লেখ্য, ব্যাংকিং ইউনিয়ন তার কাজ শুরুর আগে এর আইনগত কাঠামো চূড়ান্ত করতে হবে এবং ইউরোপীয় সংসদের সমর্থন পেতে হবে৷ এসব কাজ শেষ করে পুরোপুরি কাজ শুরু করতে আগামী বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

কর্মকর্তারা বলছেন, ইসিবি মূলত দেড় থেকে দুইশো বড় বড় ব্যাংক সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে৷ আর বাকি সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো ব্যাংক বিপদে পড়লে, তবেই ইসিবি তাদের দিকে নজর দেবার মতো সময় পাবে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য