1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে আবারও আলোচনার আহ্বান জানাল কোয়ার্টেট

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১

আবারও আলোচনার ডাক এলো আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছ থেকে৷ এবার এর আহ্বায়ক মিডলইস্ট কোয়ার্টেট৷ এদিকে জাতিসংঘে আবেদন নিয়ে ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীর উৎসব মুখর থাকলেও হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা ছিল নিরুত্তাপ৷

https://p.dw.com/p/12fsv
কোয়ার্টেটের সদস্যরাছবি: AP

আলোচনার প্রস্তাব

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পূর্ণ সদস্যপদের জন্য জাতিসংঘে আবেদন করে বক্তৃতা করার কয়েক ঘন্টা পরেই আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় মিডলইস্ট কোয়ার্টেট৷ প্রস্তাবে আগামী এক বছরের মধ্যে একটা চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে৷ প্রস্তাবের কথা জানাতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টন বলেন মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার সমাধানে এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়৷ কেননা ইসরায়েলিরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আর ফিলিস্তিনিরা তাদের দেশের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করেছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের এক মুখপাত্র স্টেফেন জাইব্যার্ট বলছেন এর ফলে মধ্যস্থতার নতুন যুগ শুরু হলো৷

প্রতিক্রিয়া

Rede Mahmoud Abbas UN NO FLASH
জাতিসংঘে আবেদনপত্রটি তুলে ধরছেন ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসছবি: AP

ইসরায়েল বলছে তারা প্রস্তাবটি বিবেচনা করে দেখছে৷ আর ফিলিস্তিনের প্রধান আলোচক সায়েব এরাকাত পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন বন্ধ করতে বলেছেন ইসরায়লকে৷ উল্লেখ্য, অনেকদিন আগে থেকেই ফিলিস্তিন ইসরায়েলের প্রতি এই আহ্বান জানিয়ে আসলেও ইসরায়েল বলেছে বসতি স্থাপন এক দিনের জন্যও বন্ধ হবে না৷

পরবর্তী পদক্ষেপ

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন আবেদনটি নিরাপত্তা পরিষদে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ আগামী সপ্তাহে সেটার উপর ভোটাভুটি হতে পারে৷ প্রাথমিক পর্যায় পার হতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়জনের সমর্থন পেতে হবে৷ সেখানে সফল হলে এরপর প্রয়োজন হবে স্থায়ী প্রতিনিধিদের ভোটের৷ সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে৷ তবে নিরাপত্তা পরিষদ চাইলে কৌশলে ভোটের পর্বটি মাসের পর মাস স্থগিত রাখতে পারে৷ এতে আবেদন প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা নেমে আসতে পারে৷

হামাস-ফাতাহ বিভেদ

প্রেসিডেন্ট আব্বাস আবেদন জানানোর সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় যেমন লোকজন উল্লাসে ফেটে পড়ে৷ তেমনটা দেখা যায়নি হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায়৷ কারণ সেখানকার মানুষজন মনে করছে জাতিসংঘের ভোটে কিছু যায় আসবে না৷ উল্লেখ্য, মাত্র গত মে মাসেই হামাস ও ফাতাহ'র মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল যার মাধ্যমে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে দুপক্ষই একমত এমন একটা ধারণা  পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু মাত্র তিনমাস পরই দুই পক্ষের দুই ধরণের প্রতিক্রিয়া প্রেসিডেন্ট আব্বাসের আবেদনকেই দূর্বল করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান